Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা পাবেন কামিন্সরা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৯ এএম

এই তো গত বছরই নিউজিল্যান্ড পাকিস্তান সফরে গিয়েও কোনো ম্যাচ না খেলে হঠাৎ ফিরে গেছে নিরাপত্তা-শঙ্কায়। এরপর একই কারণ দেখিয়ে ইংল্যান্ড তো পাকিস্তান সফরেই যায়নি। দুটি ঘটনাই গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে। বিশ্বকাপের পরপরই পাকিস্তান বাংলাদেশে এসে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে গেছে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাকিস্তানে গিয়ে খেলেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কয়েক দিন আগে অস্ট্রেলিয়াও নিশ্চিত করেছে, আগামী মার্চ-এপ্রিলে নির্ধারিত পাকিস্তান সফরে যাবে তারা। এই অপেক্ষায় কেটে গেছে যে দুই যুগ!
পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য এটা সুখবর বৈকি। বড় দলগুলো যত বেশি পাকিস্তান সফর করবে, সেখানে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের সম্ভাবনা তত বাড়বে। সেটা যাতে হয়, সে জন্য অতিথি দলগুলোর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সব উদ্যোগই নিচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও দেশটির সরকার। দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের জন্য পাকিস্তানকে এখন এভাবেই আশ্বস্ত করতে হয় সফরকারী দলগুলো আর খেলোয়াড়দের। ভরসা দিতে হয়, যেখানেই যা ঘটে যাক না কেন, খেলোয়াড়দের গায়ে তার কোনো আঁচই লাগবে না।
২০০৯ সালে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান সফর বন্ধ করে দেয় দলগুলো। দেশের মাটিতে ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ‘পরবাসে ঘর’ বানায় তারা। তবে গত কয়েক বছরে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ পাকিস্তান সফর করেছে। পিসিবি এখন ঘরের মাঠে নিয়মিত আয়োজন করে আসছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট পিএসএল। সেখানে খেলছেন বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা। তাঁদের দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। সেই নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিদ্র, তা সম্প্রতি বর্ণনা করেছেন পিএসএলে অনেক দিন ধরে খেলা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার বেন কাটিং ও ক্রিকেট কোচ ড্যারেন বেরি।
একসময়ের অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার কাটিং চারবার পাকিস্তান সফর করেছেন। পিএসএলে তিনি খেলেন পেশোয়ার জালমির হয়ে। আর ইসলামাবাদে ডিন জোন্সের সহকারী কোচ হিসেবে দুইবার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন বেরি। দুজনই পাকিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কাটিং বলেছেন, ‘এখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা অসাধারণ। এ কারণেই আপনি এখানে নিরাপদ মনে করবেন। পাকিস্তানে বিমানবন্দরে নামার পর থেকে দেশে ফিরে যাওয়ার বিমানে ওঠার আগপর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পাবেন আপনি।’ মার্চ-এপ্রিলে পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে গিয়ে প্যাট কামিন্সদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না বলেই মনে করেন কাটিং, ‘এখানে খেলোয়াড়দের যে নিরাপত্তা দেওয়া হয়, তা প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার পর্যায়ের। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যদি পাকিস্তান সফর করতেন, তিনিও একই পর্যায়ের নিরাপত্তা পাবেন, যেমন নিরাপত্তা আমাদের টেস্ট দল পাবে।’
পাকিস্তানে খেলোয়াড়দের কেমন নিরাপত্তা দেওয়া হয়, সেই অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বেরি বলেছেন, ‘টিম বাস মাঠে যাওয়ার সময় এবং মাঠ থেকে হোটেলে ফেরার সময় চতুর্দিকে চারটি সাঁজোয়া যান থাকে। ওপরে থাকে হেলিকপ্টারের পাহারা। এক রাতে করাচির হোটেলের একটি কক্ষে আমি হট্টগোলের আওয়াজ পেলাম। আমি তো এক কোনায় গিয়ে পর্দার আড়ালে লুকালাম। সেখান থেকে দেখলাম অস্ত্র নিয়ে আমার জানালায় দাঁড়িয়ে আছেন একজন নিরাপত্তাকর্মী। বাইরে তাকিয়ে দেখলাম, প্রতিটি জানালারই একই অবস্থা।’ সবশেষে কাটিং বলেছেন, ‘এটা অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা। কিন্তু কখনোই আমার নিজেকে অনিরাপদ মনে হয়নি।’
আসছে ৪ মার্চ রাওয়ালপিন্ডি, করাটির পর লাহোরে শেষ হবে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। আবার সেই রাওয়ালপিন্ডিতেই ২৯ মার্চ থেকে তিন ওয়ানডের পর হবে একমাত্র টি-টোয়েন্টি দিয়ে ৫ এপ্রিল শেষ হবে অজিদের ঐতিহাসিক পাকিস্তান সফর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা পাবেন কামিন্সরা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ