চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার জমিতে কোনোভাবেই অধিদপ্তর নিমার্ণ করা যাবে না। মাদরাসার জমির পরিবর্তে অন্যত্র অধিদপ্তর নির্মাণ করুন। মাদরাসার জমিতে অধিদপ্তর নির্মাণ করে ধর্মীয় শিক্ষা ধ্বংসের চক্রান্ত বরদাশত করা হবে না। মাদরাসার সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফাজিল পরীক্ষা শেষে আজ সোমবার দুপুরে মাদরাসার হল সুপার এবং সহকারী হল সুপারের বাসভবন ভেঙে অধিদপ্তর নির্মাণের সিন্ধান্ত বাতিলসহ ৫ দফা দাবিতে মাদরাসা এলাকায় সড়ক অবরোধ কালে ছাত্র নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করার পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি ও আধুনিক সভ্যতার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ভাষা শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অদূরে ঢাকা মেডিকেলের পাশে বকশিবাজারে অবস্থিত সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া ১৭৮০ সালে কলকাতায় ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগ হওয়ার পরে কলকাতা আলিয়ার একাংশ ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। যেখানে স্বাধীনতার পরে ১৯৭৩ সালে সরকারি মাদারাসা-ই-আলিয়া ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাদরাসা শিক্ষাকে অবমুক্ত ঘোষণা করেন। প্রায় ২৫০ বছরের আলিয়া মাদরাসাটি আজ সরকার এবং আমলাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু ইসলাম ও মাদরাসা বিদ্বেষী এবং নাস্তিকদের নগ্ন হস্তক্ষেপে বন্ধ হওয়ার উপক্রম ।
তারা আরো বলেন, এরই মধ্যে তারা অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছে এবং ধারাবাহিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা জানতে চাইলে তারা বলেন, তাদেরকে মাদরাসার ছাত্রাবাস থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়েছিল। হোস্টেল সুপার এবং সরকারি হোস্টেল সুপারকে বাসভবন থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ক্লাস অনিদৃষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মাদরাসার হেড মাওলানাসহ ৪ জন শিক্ষককে ওএসডি করা হয়েছে। মাঠেরে একাংশ জেলার এর বাসভবন, একাংশে আদালত এবং বাকি একাংশে সিটি কর্পোরেশনের দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে যা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করছি । ছাত্ররা আরো বলেন, মাদরাসা অধিদপ্তর ছিল আমাদের প্রাণের দাবি কিন্তু তা একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য নষ্ট করে তৈরি একটি হটকারী সিদ্ধান্ত। যা একটি দ্বীনি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের এজেন্ডা বাস্তবায়নের মিশন আমরা মনে করি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত এই আলিয়া মাদরাসা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিহিত করতে পারলে তিনি কখনো এখানে অধিদপ্তর করতে দিতেন না। ছাত্ররা কতিপয় দাবি পেশ করেন। দাবি সমূহ হচ্ছে, আলিয়া মাদরাসার জমিতে কোনভাবেই মাদরাসা অধিদপ্তর নির্মাণ করা যাবে না, মাদরাসার ছাত্রদের আবাসন সঙ্কট নিরসনে নতুন হল তৈরি করতে হবে, ছাত্রদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, আলিয়া মাদরাসার উন্নয়নে সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, স্বতন্ত্র মসজিদ, আধুনিক কমনরুম, আধুনিক জিমনেসিয়াম এবং শিক্ষা কার্যক্রম সুন্দর ভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে এবং মাদরাসার প্রিন্সিপালকে প্রত্যাহার করে দুর্নীতির তদন্ত ও আলিয়া মাদরাসার দখলকৃত সকল জমি ফেরত আনতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।