মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
১১ বছরের মেয়েটির ডাউন সিনড্রোম রয়েছে। আর সেই কারণেই স্কুলে তাকে সহপাঠীদের লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। তাকে নিয়ে ঠাট্টা, তামাশা করে অন্য ছাত্রছাত্রীরা। সেই খবর কানে যেতেই আর চুপ করে বসে থাকতে পারেননি রিপাবলিক অফ নর্থ ম্যাকেডোনিয়ার প্রেসিডেন্ট স্তেভো পেন্দারোভস্কি।
ছোট্ট মেয়ের হাত ধরে নিজেই তাকে স্কুলে পৌঁছে দেন রাষ্ট্রপ্রধান। দেশের ভাবী নাগরিকদেরও বুঝিয়ে দেন, কোনও শারীরিক বা মানসিক সমস্যাই একজন মানুষকে তার প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করতে পারে না। কাউকেই এর ভিত্তিতে অন্যদের থেকে আলাদা করা যায় না। প্রেসিডেন্টের এই উদ্যোগ মন কেড়েছে নেট নাগরিকদের। খুশি আমজনতাও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ বছরের ওই বালিকার নাম এম্বলা অ্যাদেমি। সে গোস্তিভার শহরের বাসিন্দা। তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তার সহপাঠীরা তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছে। কোনওভাবে এই খবর প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছয়। তিনি সটান এম্বলার সঙ্গে দেখা করতে চলে আসেন। তারপর সেই ছোট্ট মেয়ের হাত ধরেই পৌঁছে যান তার স্কুলে। এম্বলার শ্রেণিকক্ষ পর্যন্ত তাকে পৌঁছে দেন প্রেসিডেন্ট।
এম্বলার বাবা-মায়ের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। মেয়েটির রোজকার নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন তারা। এম্বলার পরিবার যে শত সমস্যা সত্ত্বেও তার পাশে থেকেছে, তাকে তার অধিকার পেতে সাহায্য করছে, এর জন্য পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান প্রেসিডেন্ট। পরে এম্বলার সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি নিজের সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে শেয়ার করেন তিনি।
এই ঘটনার পরই প্রত্যেকটি শিশুর অধিকার নিয়ে সরব হন প্রেসিডেন্ট। শিশুর অধিকার রক্ষায় তার পরিবার, স্কুল, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু দেশের আইনের কী কী করণীয়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট বলেন, শুধুমাত্র কিছু শারীরিক বা মানসিক সমস্যা থাকার জন্য কোনও শিশু বাকিদের থেকে পিছিয়ে পড়বে, এটা মানা যায় না। এমন ঘটনা রুখতে সকলকে একজোট হতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে পেন্দারোভস্কি বলেন, "রাষ্ট্র এবং ব্যক্তি হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব। তবে সবথেকে বেশি যেটা দরকার, তা হল সহানুভূতি। যা এম্বলার মতো শিশুদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে, তাদের শেখাবে, কীভাবে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে হয়, নিজের আনন্দ আর অনুভূতি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হয়। পুরনো ধ্যানধারণা প্রগতিশীলতার পথে প্রধান বাধা। আমাদের সকলকেই সেই বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হবে।" প্রেসিডেন্টের এই আচরণ মন কেড়েছে আমজনতার। এম্বলা পাশে এভাবে দাঁড়ানোর জন্য তারা পেন্দারোভস্কিকে স্বাগত জানিয়েছেন। সূত্র: ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।