মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় সউদি সেনা পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে এবং তা কোনোভাবেই পরিবর্তন করা হবে না। সউদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ আল-আসিরি এ কথা জানিয়েছেন। এদিকে ন্যাটো বলেছে, তারা সিরিয়া ও ইরাকে আইএস বিরোধী স্থল অভিযানে যোগ দেবে। অপরদিকে রাশিয়া বিশ্বযুদ্ধের হুমকি দিয়ে বলেছে, সিরিয়ায় পশ্চিমা সেনা-হস্তক্ষেপ বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারে। সউদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ আল-আসিরি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সিরিয়ায় সেনা পাঠাতে রিয়াদ সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসকে পরাজিত করতে আন্তর্জাতিক জোটের অধীনে লড়াই করবে সউদি আরব। তবে তিনি জানান, সিরিয়ায় ভবিষ্যত স্থল অভিযান সম্পর্কে ভালো বলতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।
জেনারেল আহমাদ আসিরি বলেন, আমরা শুধুমাত্র সেনা পাঠানো সংক্রান্ত সউদি সরকারের সিদ্ধান্ত জানানোর বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব করছি। সউদি অর্থে পরিচালিত ওয়েবসাইটে এ খবর দেয়া হয়েছে। জেনারেল আসিরি এ সময় ইরানের জন্য হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন। তিনি তার ভাষায় বলেছেন, ইরান যদি আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তরিক হয়, তাহলে সিরিয়া ও ইয়েমেনের সন্ত্রাসীদের প্রতি সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে হবে। এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাস্টোন কার্টার বলেছেন, সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসবিরোধী হামলায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে ন্যাটোও যোগ দিতে পারে। ব্রাসেলসে ন্যাটো সদস্যের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা ঘোষণা দেন তিনি। ন্যাটো প্রধান জেনস স্টোলেনবার্গের নেতৃত্বের গুণেই এ সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সদস্য হিসেবে ন্যাটোর যোগ দেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ সিরিয়ায় স্থল হামলার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সিরিয়ায় (ক্ষমতাসীন সরকারের অনুমোদন ছাড়া) বিদেশি হামলা নয়া বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, সিরিয়ায় বিদেশী সেনাদের স্থল-অভিযান দেশটিতে সংঘাতের অবসান ঘটাবে না, বরং তাতে সংঘাত আরও দীর্ঘকাল ধরে চলবে। রুশ প্রধানমন্ত্রী সিরিয়ায় অশান্তি সৃষ্টির জন্য মার্কিন, সউদি ও ইউরোপীয় কোনো কোনো সরকারকে দায়ী করেছেন। মস্কো সম্প্রতি বলেছিল, উপগ্রহ বা বিমান থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, সিরিয়ার সীমান্তের কাছে তুরস্কের ভেতরে সেনা-সমাবেশ করা হচ্ছে এবং সেখানে অস্ত্র ও নানা সাজ-সরঞ্জাম জড় করা হয়েছে। আল-আরাবিয়া নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।