বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী এলাকায় মোবাইল ছিনতাই করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে নিরঞ্জন দাশ (২৪) নামের এক এপিবিএন পুলিশ সদস্য। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ইউনিয়ন পরিষদ ভবন রোডের পেছন থেকে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
এ সময় নিরঞ্জন দাশের শার্টের পকেটে একটি ছুরি পাওয়া যায়। এছাড়া তার কাছে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি পুলিশী পরিচয়পত্র ও একটি মানিব্যাগ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, নিরঞ্জন দাশ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর
মেঘেরকান্দি এলাকার রতীম দাশের ছেলে। সে ১৪ এপিবিএন-এ কনস্টেবল হিসেবে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার বিকালে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন রোডের পেছনের গলিতে একটি সিএনজিসহ আসে নিরঞ্জন দাশ। ওই চিপা গলিতে ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প হাকিমপাড়ার এক রোহিঙ্গা যুবকের কাছ থেকে পুলিশ পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক রোহিঙ্গা যুবকটি আশেপাশের স্থানীয় সচেতন কয়েকজনকে ডেকে এনে বিষয়টি বোঝান। সঙ্গে সঙ্গে ওই পুলিশের আচরণ সন্দেহজনক হলে মানুষজন তাকে আটক করে। এ সময় ভিড় লেগে যায়। পরে তাকে গ্রাম পুলিশ ও উখিয়া থানা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়।
কয়েকজন রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, নিরঞ্জন দাশ পুলিশ পরিচয়ে এর আগেও বহু মানুষের কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাই করেছে। উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘুরে ঘুরে সে মোবাইল ছিনত করে থাকে।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ রফিক উদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগে নিরঞ্জন দাশ এক স্থানীয় লোকের মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে গেছে পুলিশ পরিচয়ে। যেটি আর পাওয়া যায়নি। সে একটি সিএনজি ভাড়া করে তেলখোলা, হাকিমপাড়া, জামতলী, ময়নারঘোনাসহ বিভিন্ন এলাকার রোডগুলোতে ঘুরে ঘুরে মোবাইল ছিনতাই করে থাকে।
উখিয়ার ১২ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি এনায়েত আল্লাহ্ তাকে আটকের খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি নিরঞ্জন দাশ একটি সিএনজি নিয়ে তার কাছে আসে এবং তার মোবাইলটি দেখতে দিতে বলে। মোবাইল দেখে নিরঞ্জন দাশ তাকে বিভিন্ন অপরাধমূলক গেমস ও অবৈধ টাকা আয় করার কথা বলে মোবাইলটি নিয়ে যায় ফাঁড়িতে যোগাযোগ করার কথা বলে।
আটকের পর কনস্টেবল নিরঞ্জন দাশের বিরুদ্ধে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার অনেক ভুক্তভোগী ঘটনাস্থলে ভিড় করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রশাসনের ভেতরে থেকে এধরনের দুষ্কৃতকারী সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে দেশের প্রশাসনের মান ক্ষুন্ন করছে। এই ঘটনায় তার যথাযথ আইনি শাস্তি দাবি করেন তিনি। তিনি আরে বলেন, এর আগেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রশাসন কর্তৃক হেনস্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তারা সেই অভিযোগ আমলে নিলে আজকে এধরনের ঘটনা ঘটতো না।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে উখিয়ায় কর্মরত ১৪ এপিবিএন পুলিশ সুপার নাঈমুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরেছি। সে (নিরঞ্জন দাশ) বিগত চার মাসের ছুটিতে ছিল। এছাড়া সে চাকরিতে অনিয়মিত। এব্যাপারে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।