মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (পিডিএম) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার অঙ্গীকার করেছে। শুক্রবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বহুদলীয় জোটের বৈঠকের পর এ ঘোষণা করে তারা। জামিয়াতে ওলেমায়ে ইসলাম (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান, যিনি পিডিএম-এরও প্রধান, বলেছেন যে, তারা সর্বসম্মতভাবে দেশটির বর্তমান অযোগ্য সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন দলের মিত্রদের সাথেও যোগাযোগ করা হবে উল্লেখ করে জনাব রহমান বলেন, ‘আমরা তাদের (পিটিআই সরকারের জোট অংশীদারদের) বলবো, পাকিস্তানের জনগণের প্রতি একটু করুণা করতে, গত কয়েক বছরে (বর্তমান সরকার) তাদের সাথে যা করা হয়েছে।’
জনাব ফজলুর রহমান বলেন, সরকারের মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হবে এবং কমিটির সদস্যদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, জোট প্রথমে সরকারের মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি কাঠামো তৈরি করবে এবং তারপর জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোট আনবে। পিডিএম প্রধান আরো বলেন যে, তারা এখনও আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ২৩ মার্চ সরকারের বিরুদ্ধে লংমার্চ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, ইমরান খানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বহুদলীয় জোটের ঘোষণার কিছক্ষণ পর পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বিরোধী দলগুলোকে আগামীকাল সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার সক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, ‘(প্রধানমন্ত্রী) ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সাহস কারো নেই।’ একটি ভিডিও বিবৃতিতে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য পিডিএম-এর প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, ‘এটি ঘটবে না।’ জনাব ফাওয়াদ বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতারা তাদের (পিডিএম) চমক দেবেন।’
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি পিডিএমএ’র সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদও। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পিডিএমের প্রয়োজনীয় জনসংখ্যা নেই। রশিদ বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে ‘পাকিস্তান করাপশন লিমিটেড পার্টি’ আজ বৈঠক করেছে। তিনি বলেন, ‘বিরোধীরা নিজেদের টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে, কারণ তারা সরকার পতন ঘটাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের (অনাস্থা) প্রস্তাবের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনপ্রণেতা নেই।’ রশিদ বলেন, বিরোধী দলগুলো এখন সরকারের মিত্রদের সমর্থন ভিক্ষা চাইছে। তিনি আরো বলেন, পুরো বিরোধী দল একজোট হয়েও প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে পরাজিত করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তার বাবা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং পিপিপি কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি এক মধ্যাহ্ন ভোজে পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরীফের সাথে যৌথ প্রচেষ্টায় পিটিআই-কে ক্ষমতাচ্যুত ও তাদের সমস্যাগুলো নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে প্রতিটি বিকল্প পথ ব্যবহার করতে সম্মত হন।
বৈঠকটিতে পিএমএল-এন সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ ও হামজা শাহবাজ, এমএনএ খাজা সাদ রফিক এবং কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব উপস্থিত ছিলেন। পিপিপি পাঞ্জাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান মুর্তজাও সেখানে তার দলের নেতৃত্বের সঙ্গে ছিলেন। ইমরান খানের সরকারকে উৎখাত করতে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের প্ল্যাটফর্মের অধীনে ঘোষিত পিপিপি’র ২৭ ফেব্রুয়ারির এবং পিএমএল-এন ও তার সহযোগী দলগুলোর ২৩ মার্চের লং মার্চের আগে দু’পক্ষ একজোট হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সূত্র : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।