মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, তিনি রাষ্ট্রের দেয়া জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ মুসকানের মতো মুসলিম মেয়েরা যদি এই দেশে হুমকির মধ্যে থাকে, তবে আসাদুদ্দিন ওয়াইসিও বিপদে আছেন।
উত্তর প্রদেশের একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ওয়াইসি এসব কথা বলেন। কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় ওয়াইসির গাড়িতে গুলি চালানো হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে তাকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জেডপ্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই নিরাপত্তা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। সরকারের উদ্দেশে ওয়াইসি বলেন, আপনারা আমাকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেছেন, কারণ আমার জীবনের আপাত হুমকির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু আমি পার্লামেন্টে বলেছিলাম, আসাদুদ্দিন ওয়াইসির জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই বরং এমন কিছু করুন যাতে সবাই নিরাপদ থাকে। তার ভাষায়, আগার মুসকান কো খাতরা হ্যায়, তো আসাদ কো ভি খাতরা হ্যায় (মুসকান যদি বিপদে থাকে, তাহলে আসাদও হুমকির মধ্যে রয়েছে)।
হিজাব ইস্যুতে কর্ণাটকে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে একটি কলেজ ক্যাম্পাসে বোরকা পরিহিতা ছাত্রীর নির্ভীকভাবে একদল উগ্র কলেজ ছাত্রের মুখোমুখি হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। জানা গেছে, মেয়েটির নাম বিবি মুসকান খান, মান্ডিয়ার একটি কলেজের বি.কম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি।
ভাইরাল ভিডিওতে একদল হিন্দু ছাত্রের জয় শ্রীরাম স্লোগানের বিপক্ষে মুসকানকে বাতাসে হাত তুলে আল্লাহু আকবার বলে চিৎকার করতে দেখা গেছে। মুসকান জানান, তিনি তার অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে কলেজে এসেছিলেন এবং জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে থাকা ছেলেদের একটি গ্রুপের মুখোমুখি হয়ে পড়েন। গত মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে, যখন কর্ণাটকের বেশ কয়েকটি কলেজে ছাত্রীদের হিজাব পরে ক্লাসরূমে ঢোকা নিয়ে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।
মুসকান জানান, তার কলেজের শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরার অনুমতি আছে, বোরকা পরার অনুমতি নেই। তাই কলেজে এসে তিনি বোরকা খুলে রেখে কেবল হিজাব পরিধান করেন। বিষয়টি নিয়ে কলেজে কোনো সমস্যা ছিল না।
ওই ঘটনার পরপরই ওয়াইসি মুসকানের সাথে যোগাযোগ করেন। মুসকান ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। ওয়াইসি জানান, মুসকান ও তার পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলেছি। তার ধর্ম ও পছন্দের স্বাধীনতার চর্চা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার প্রতি তার প্রতিশ্রুতিতে অবিচল থাকার জন্য প্রার্থনা করেছি। আমি তাকে জানিয়েছি, তার নির্ভীক আচরণ আমাদের সকলের জন্য সাহসের উৎস হয়ে উঠেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।