মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ডিজিটাল দুনিয়ায় বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। বিশ্বায়ন এক সারিতে নিয়ে এসেছে গাঁ থেকে মেট্রো শহর। বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতো পরিবর্তন এসেছে ভিক্ষাবৃত্তিতেও। সোশ্যাল সাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিপদে আপদে সাহায্যের আবেদনের মতো পরিচিত ঘটনার কথা বলছি না। এ এক ভিক্ষুকের গল্প – ডিজিটাল ভিক্ষুক বলেলও অত্যুক্তি হয় না বোধহয়।
পথচলতি মানুষজনের থেকে ভিক্ষা চাইতে তিনি গলায় ঝুলিয়েছেন কিউআর কোড। যেখানে স্ক্যান করে সহজেই তাকে আপনার সাধ্যমতো আর্থিক সাহায্য করতে পারবেন। অবাক হচ্ছেন? কিন্তু এটাই সত্যি। বিহারের বেতিয়া স্টেশন চত্বরে ঘুরে বেড়ানো সেই ভিক্ষুকের গল্প এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। তিনি ডিজিটাল মাধ্যমেই ভিক্ষা গ্রহন করছেন।
রাজু প্যাটেল। মাঝবয়সী ব্যক্তি। বিহারের বেতিয়ার বাসিন্দা। অন্যের সাহায্য নিয়েই ক্ষুণ্ণিবৃত্তি করে থাকেন। ইদানিং দেখা যায়, রাজুর গলায় ঝোলানো একটি কার্ড, তাতে কিউআর কোড দেওয়া। অর্থাৎ ডিজিটাল লেনদেনে দিব্যি সড়গড় রাজু। অনেক যাত্রীকেই দেখা গেল, সেই কিউআর কোড স্ক্যান করে তাকে ভিক্ষা দিচ্ছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজু বলেন, ‘আমি ডিজিটালিও ভিক্ষা নিই। নিজের পেট ভরানোর জন্য এই ব্যবস্থা আমায় করে নিতে হয়েছে।’ মূলত ফোনপে’র মাধ্যমে তিনি সাহায্য নিয়ে থাকেন।
বিহারের এই ‘ডিজিটাল ভিক্ষুক’-এর কাহিনি জানাজানি হতেই তা নেটদুনিয়ায় তুমুল আলোড়ন তুলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায় প্রচুর লাইক, শেয়ার, কমেন্ট। তবে রাতারাতি এভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করা রাজুকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত নেটিজেনরা। একদল তার এই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাকে ধন্য-ধন্য করছেন। আবার আরেকদলের কটাক্ষ, যতই ডিজিটাল হোক, দেশের গরিবিয়ানার ছবিটা তো আর বদলাচ্ছে না, এটা দারিদ্রেরই আরেকটা রূপ। সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।