Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সঙ্কটে পাকিস্তানের রাজনীতি

ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামছে বিরোধীরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৮ এএম

গুরুতর সঙ্কটের মুখে পড়েছে পাকিস্তানের রাজনীতি। লাহোরের পাশাপাশি পাঞ্জাবে অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে অপসারণের এক দফা এজেন্ডায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো। ইমরানের ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও এর সদস্যদের দলত্যাগকে পর্যবেক্ষণে রেখে আকর্ষণীয় প্রস্তাবও পেশ করেছে তারা।

পিটিআই-এর মিত্র পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদে আজম গ্রুপ (পিএমএলকিউ) এবং মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম)-এর কাছ থেকে সমর্থন লাভের পরিবর্তে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) দেশটির পার্লামেন্ট এবং পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে একটি অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন আনার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংস্থার কাছ থেকে নিরপেক্ষ থাকার সঙ্কেত পাওয়ার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নেয়।

পিএমএল-এন চায় না যে, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সময় দেয়া হোক। পিএমএলএন-এর সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজও আভাস দিয়েছেন যে, নিরাপত্তা সংস্থা একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক। পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে ধারণা রয়েছে যে, যদি পাঞ্জাবে অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ সফল হয়, তাহলে দেশের বৃহত্তম প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন পিএমএল-এন মনোনীত প্রার্থী, যেখানে পিপিপি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রার্থী দেবে।

এরমধ্যে, পরবর্তী নির্বাচনে দল থেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে, পিএমএল-এন থেকে এই আশ্বাস পাওয়ার পর পাকিস্তানের সিনেট নির্বাচনে ন্যাশনাল এসেম্বলির এক ডজনেরও বেশি পিটিআই সদস্য ইউসুফ রাজা গিলানিকে ভোট দিয়েছেন। ন্যাশনাল এসেম্বলির প্রায় দুই ডজন পিটিআই সদস্যের একটি তালিকা পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফের কাছে পাঠানো হয়েছিল, যাদের যাচাই-বাছাই পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থীতার আশ্বাস দেয়া হয়।
অভ্যন্তরীণভাবে, পিটিআই একটি গুরুতর ব্যবস্থাপনা সঙ্কটের মুখোমুখি। প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সাথে বিচ্ছিন্ন নেতা জাহাঙ্গীর খান তারিনের এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খট্টকের সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হচ্ছে, উভয়ই সঙ্কটের সময় প্রধানমন্ত্রী ইমরানের জন্য সমস্যা সমাধানকারীর ভূমিকা পালন করেছেন। তারিনের ও খট্টক সাথে কয়েক ডজন মের্ম্বাস অফ প্রভিন্সিয়াল এসেম্বলি (এমপিএ)-এর পাশাপাশি মের্ম্বাস অফ ন্যাশনাল এসেম্বলি (এমএনএ) যুক্ত রয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান, নওয়াজ, পিপিপি কো-চেয়ারপারসন আসিফ আলী জারদারি এবং নিরাপত্তা সংস্থা সম্পর্কিত চারটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। ইমরান তার ভবিষ্যত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যগুলি সুরক্ষিত করতে পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগের জন্য আগামী ৭ থেকে ৮ মাস ক্ষমতাসীন থাকতে চান। নওয়াজ তার মেয়ে মরিয়মের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে তার পছন্দের পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগ করা থেকে বিরত রাখতে চান।

জারদারি পরবর্তী মেয়াদের জন্য সিন্ধু সরকারকে সুরক্ষিত করতে চান এবং কেন্দ্রে কিছু অংশ পেতে চান। এবং পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগ নিয়ে উদ্বিগ্ন নিরাপত্তা মহলও। বিশ্লেষকরা বলছেন, সব পক্ষই তাদের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে যাবে। সূত্র : ট্রিবিউন



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ