মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে সোমবার বৈঠক হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের। বৈঠক ফলপ্রসূ বলে জানিয়েছে দুই পক্ষই। তবে ইউক্রেন সঙ্কট সমাধানে কোন পদক্ষেপ বা এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
রাশিয়ার ‘আগ্রাসন’ বন্ধ করতে একের পর এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রগুলো। সে জন্যই সোমবার মস্কোয় যান ফরাসি প্রেসিডেন্ট। দীর্ঘ বৈঠকের পর ম্যাখোঁ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মতবিরোধ থাকলেও বেশ কিছু বিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে রাশিয়া একমত হয়েছে। আরো শান্তিপূর্ণ বৈঠকের রাস্তা তৈরি হয়েছে। পুতিন জানিয়েছেন, ম্যাখোঁর কিছু কিছু প্রস্তাব বাস্তবসম্মত। তবে এদিনও ন্যাটোর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ম্যাখোঁ জানিয়েছেন, পুটিনের সঙ্গে বৈঠক শান্তিপূর্ণ আলোচনার রাস্তা খুলে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকসপ্তাহ আগে রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছিল, তাদের দাবি না মানলে ন্যাটো বা তার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে তারা আরো কোনো আলোচনায় যাবে না। এদিন ফের আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন পুতিন। ইউক্রেন নিয়ে দীর্ঘ কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। ফ্রান্স জানিয়েছে, যে কোনো স্বাধীন দেশের ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার অধিকার আছে। এ বিষয়েও প্রথম থেকে দ্বিমত রয়েছে ক্রেমলিনের। মস্কোর বক্তব্য, ইউক্রেনকে কোনোভাবেই ন্যাটোর সদস্যপদ দেয়া যাবে না।
ম্যাখোঁর দাবি, পুতিনও যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আলোচনার মাধ্যমে যাতে যুদ্ধের আশঙ্কা বন্ধ করা যায়, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। আরো আলোচনার রাস্তা খুলে দিয়েছেন। তবে একইসঙ্গে ম্যাখোঁ জানিয়েছেন, সব বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে তিনি সহমত হননি। ন্যাটোর অবস্থানও পুতিনের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও। তিনিও জানিয়েছেন, ম্যাখোঁর সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। ম্যাখোঁর বেশ কিছু প্রস্তাব বাস্তবসম্মত। রাশিয়া যুদ্ধের বিরোধী। ফলে উত্তেজনা কমানোর জন্য আরো আলোচনায় রাজি ক্রেমলিন। কিন্তু কয়েকটি বিষয় ন্যাটোকে মাথায় রাখতে হবে। ইউক্রেন যদি এই সুযোগে ক্রাইমিয়া দখলের চেষ্টা করে তাহলে রাশিয়ার সামনে যুদ্ধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না।
পুতিনের অভিযোগ, ন্যাটো ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা সমাবেশ নিয়ে বার বার চাপ দেয়ার চেষ্টা করছে। তারা একবারও বলছে না, রাশিয়া আত্মরক্ষার জন্য নিজের দেশের ভিতর সেনা সমাবেশ করেছে। অন্য দেশে নয়। উল্টোদিকে ন্যাটো রাশিয়ার সীমান্ত জুড়ে একাধিক দেশে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। এ নিয়ে তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। তার আরও অভিযোগ, গোটা ঘটনায় রাশিয়াকে ভিলেন প্রতিপন্ন করার চেষ্টা হচ্ছে। রাশিয়া যা মেনে নেবে না। তার দাবি, ন্যাটো একটি ডিফেন্স ফোর্স। আগ্রাসনের কোনো অধিকার তাদের নেই। কিন্তু বাস্তবে তারা যা করছে, তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসন ছাড়া আর কিছু নয়। এদিন ফের রাশিয়া জানিয়েছে, আলোচনার রাস্তা খুলতে হলে তাদের স্বার্থের দিকটিও সকলকে মাথায় রাখতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পূর্ব ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা এখনো আগের মতোই আছে। যুদ্ধের ফরমেশন তৈরি করে রেখেছে রাশিয়া। ন্যাটো এবং মার্কিন বাহিনীও স্ট্রাটেজিক অঞ্চলে নিজেদের বেস তৈরি করেছে। একের পর এক আলোচনা হলেও যুদ্ধ পরিস্থিতির এখনো পর্যন্ত কোনো বদল ঘটেনি। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।