মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমা দেশগুলির কাছে অস্ত্র চেয়েছে ইউক্রেন। কিন্তু জার্মানি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে না। শুধু তা-ই নয়, ইউক্রেনে সেনা পাঠাতেও রাজি নয় জার্মানি। ইউক্রেনের অভিযোগ, জার্মানি নিজেও অস্ত্র দিচ্ছে না, অন্য দেশকেও দিতে দিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ফের ইউক্রেন গেলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। জার্মানি ইউক্রেনকে বোঝানোর চেষ্টা করছে, অস্ত্র বিক্রি না করলেও তারা ইউক্রেনের পাশে আছে।
জানুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেন গেছিলেন বেয়ারবক। পরিস্থিতি তারপর জটিল হওয়ায় ফের ইউক্রেন গেলেন তিনি। সোমবার তার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার। এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষমুহূর্তে সেই বৈঠক বাতিল হয়েছে। ইউক্রেন সরকারিভাবে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার জন্যই বৈঠক বাতিল হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জার্মানি অস্ত্র বিক্রি করতে না চাওয়ার কারণেই প্রেসিডেন্ট বৈঠক বাতিল করেছেন। তবে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেয়ারবকের বৈঠক হবে বলে ইউক্রেনের প্রশাসন জানিয়েছে।
বেয়ারবক ইউক্রেনকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা জার্মানির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়া আগ্রাসন দেখালে তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অর্থনৈতিকভাবে ইউক্রেনকে সাহায্য করা হবে। জার্মানি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে। প্রশ্ন উঠছে, রাশিয়ার এই আগ্রাসনের জন্য জার্মানি গ্যাসলাইন নর্ডস্ট্রিম ২ বাতিল করবে কি? বস্তুত এ নিয়ে জার্মানির রাজনৈতিকমহল দ্বিধাবিভক্ত। জার্মানির একাংশের রাজনীতিকরা বলতে শুরু করেছেন গ্যাসের ক্ষেত্রে জার্মানি রাশিয়ার উপর ভয়ংকরভাবে নির্ভরশীল। সময় এসেছে সেই নির্ভরতা কমানোর। তারা নর্ড স্ট্রিম ২ বিরোধী। অন্যপক্ষ নর্ড স্ট্রিম ২ রাখতে চাইছে। বস্তুত, রাশিয়া থেকে বাল্টিক সাগরের তলা দিয়ে জার্মানি পর্যন্ত নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস লাইন তৈরি হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো গ্যাস সাপ্লাই শুরু হয়নি।
গত সপ্তাহে বার্লিনে ইউক্রেনের দূতাবাস জানিয়েছে, ইউক্রেন জার্মানির কাছে যে অস্ত্র চেয়েছে তা সামগ্রিকভাবে আত্মরক্ষার অস্ত্র। অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট, অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম চেয়েছে তারা। একইসঙ্গে চাওয়া হচ্ছে নাইটভিশন গগলস, সার্ভিল্যান্স ক্যামেরা। এগুলি আক্রমণ করার অস্ত্র নয়। তবে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে জার্মানি এখনো রাজি নয়। এবং সে কারণেই জার্মানির সঙ্গে ইউক্রেনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
এবারের সফরে বেয়ারবক পূর্ব ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনও যেতে পারেন। সেখানে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে ইউক্রেনের সেনা এবং রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর যোদ্ধারা। সোভিয়েত আমলে ইউক্রেনে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। ১৯৩০ সালের সেই দুর্ভিক্ষে যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাদের কবরস্থানেও যাওয়ার কথা বেয়ারবকের। সূত্র: ডিপিএ, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।