Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অলআবাহনী লড়াইয়ে জিতলো ঢাকা

এবার জয় হলো মোহামেডানেরই

প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের মর্য্যদাপূর্ণ আসর জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (জেবি বিপিএল) জায়ান্ট রূপেই আতœপ্রকাশ ঘটেছে পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির। লিগের প্রথম পর্বের শুরু থেকেই অসাধারণ পারফরমেন্স দেখিয়ে সবাই চমকে দেয় তারা। এক পর্যায়ে জায়গা করে নেয় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে। ঢাকার ফুটবলে এক সময়ের জায়ান্ট কিলার খ্যাত রহমতগঞ্জ এবারের মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডানকে রুখে দিয়ে চমক দেখায়। জেবি বিপিএলের প্রথম পর্বে তারা মোহামেডানের বিপেক্ষ ১-১ গোলে ড্র করে। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে জয় হয় মোহামেডানেরই। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বারোতম রাউন্ডের খেলায় মোহামেডান প্রথমে পিছিয়ে থেকেও ২-১ গোলে হারায় রহমতগঞ্জকে। বিজয়ীদের পক্ষে ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার এনজেকু প্যাট্রিস ও গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা একটি করে গোল করেন। রহমতগঞ্জের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড দাওদা সিসে।
লিগের প্রথম পর্বে টানা দশ ম্যাচে অপরাজিত ছিলো রহমতগঞ্জ। এগারতম ম্যাচে তারা প্রথম হারের স্বাদ পায় ঢাকা আবাহনীর কাছে। আর গতকাল পেল সাদা-কালোদের বিপক্ষে দ্বিতীয় হারের স্বাদ। এ ম্যাচে জয় পেয়ে মোহামেডান ১২ খেলায় ১২ পয়েন্ট পেয়ে দশম থেকে সপ্তমস্থানে উঠে আসলো। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট পাওয়া রহমতগঞ্জের অবস্থান তালিকার তৃতীয়স্থানে। নামের বিচারে রহমতগঞ্জের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু এবারের বিপিএলে চমকের পর চমক দেখিয়ে শিরোপা রেসে উঠেছে রহমতগঞ্জ। অন্যদিকে লিগে বারো ম্যাচ খেলে মাত্র দুই জয় পেয়েছে মোহামেডান। তাই প্রথম পর্ব শেষে অবনমনের শংকায় থাকা দলগুলোর সারিতে নেমে গিয়েছিলো ঐতিহ্যবাহীরা। জয় পেলেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠতে পারতো রহমতগঞ্জ। আর হেরে গেলে আরো নিচে নেমে যেতে হতো মোহামেডানকে।
এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথমে গোল করে এগিয়ে ছিল পুরনো ঢাকার ক্লাবটিই। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে এক গোল করেই ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে দেয় সাদা-কালোরা। ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া থাকা রহমতগঞ্জ একের পর এক আক্রমণ চালায় মোহামেডান রক্ষণদূর্গে। তবে গোল পেতে তাদের প্রায় আধঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়। অবশেষে সাফল্য দেখা দেয়। ম্যাচের ২৮ মিনিটে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। এসময় মাঠের বামপ্রান্ত থেকে আলী হোসেনের বাড়িয়ে দেয়া বল নিয়ে মোহামেডানের বক্সে ঢুকে পড়েন দাওদা সিসে। দুইজন ফুটবলারকে কাটিয়ে দারুণ শটে গোল করেন দাওদা (১-০)। ৪০ মিনিটে ম্যাচে সমতা আসে। মোহামেডানের ফরোয়ার্ড আমিনুর রহমান সজিবের ডান পায়ের শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলে ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার এনজেকু প্যাট্রিস হেড দিয়ে গোল করে সমতা আনেন (১-১)। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মোহামেডানকে জয় এনে দেন গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। পুরো ম্যাচ জুড়ে ব্যর্থ ইসমাইল বাঙ্গুরাই দলকে দারুণ এক গোল উপহার দেন। আবারও ডানপ্রান্ত থেকে বল ভাসিয়ে দিয়েছিলেন ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ। মাসুম বলের ফ্লাইট মিস করলে তাতে দীর্ঘদেহী বাঙ্গুরা হেড করেন, আর বলের ঠিকানা হয় জালে (২-১)। বাকি ছয় মিনিট ও যোগ করা দু’মিনিটে রক্ষণদূর্গ সামলে খেলে মোহামেডান। ফলে শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফেরা হয়না রহমতগঞ্জের।
দিনের অন্য ম্যাচে আবাহনীর ২-১ গোলের লড়াইয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠে গেল ঢাকা আবাহনী। ৬৭ মিনিটে ঢাকাকে এগিয়ে নিয়ে যান সানডে। এর তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লি টাক। শেষ বাঁশি বাজার এক মিনিট আগে চট্টগ্রামের হয়ে পেনাল্টি থেকে একটি গোল শোধ দেন জাহিদ। এই জয়ে ১২ ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর ঝুলিতে ২৬ পয়েন্ট, সমান ম্যাচ খেলা ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে এলো চট্টগ্রামের দলটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অলআবাহনী লড়াইয়ে জিতলো ঢাকা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ