চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই’ বলেছেন, ঐতিহ্যবাহি সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার অবকাঠামো ভেঙ্গে কোন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করলে ধর্মপ্রাণ জনতা নীরব বসে থাকবে না। মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার ছাত্রাবাসসহ প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানের ভেতর মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর স্থাপন করার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। গতকাল পুরানা পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে মুফতী ফয়জুল করীমের সাথে সরকারি মাদরাসা-ই আলীয়া মাদরাসার প্রাক্তণ ছাত্র ফোরাম নেতৃবৃন্দের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া ঢাকাকে সঙ্কুচিত না করে আলীয়া বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা দিতে হবে। তিনি বলেন, সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া ঢাকার ২৫০ বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া ঢাকার উত্তরোত্তর উন্নয়ন না করে এর অবকাঠামো ভেঙ্গে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর স্থাপন করার সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। এ সময় সরকারি মাদরাসা-ই আলীয়ার প্রাক্তণ ছাত্র ফোরামের সদস্য মাওলানা ইসমাইল ফারকী, মাওলানা গাজী সাইফুদ্দিন, অধ্যাপক মাওলানা এস এম আব্দুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন। ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের নেতা হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান ও এইচ এম রফিকুল ইসলাম। নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাকা আলীয়া মাদরাসাকে নিয়ে কোন প্রকার চক্রান্ত সহ্য করা হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।