Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এরশাদের চেয়ে বিএনপি আওয়ামীলীগ বেশি স্বৈরাচারী জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৪৯ পিএম

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের জন্য সম্প্রতি প্রণীত যে আইন হয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে তেমন কোন ভূমিকা রাখবে না। নির্বচন কমিশনে আল্লাহর ফেরেশতা দিলেও ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কারণ আইন অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পালন করার কথা থাকলেও তারা নির্বাচন কমিশনের কথা শোনে না। শোনে সরকারের কথা। নিয়ম অনুযায়ি নির্বাচনকালে নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনের আদেশ শুনতে বাধ্য। কিন্তু আদেশ না শুনলে কি হবে সে বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা নেই। বর্তমানে আওয়ামীলীগ-বিএনপির পরষ্পরবিরোধী যে অবস্থান জাতীয় পার্টি তো নয়ই, জাতিসংঘের মহাসচিব এমনকি আমেররিকার প্রেসিডেন্ট দ্বারাও তা নিরসন সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জন্য সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য ফর্মূলা বের করতে হবে। বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়া গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিপন্থ’ী। এরশাদকে স্বৈরাচার বলা হলেও পরবর্তী বিএনপি আওয়ামীলীগ সরকার এরশাদের চাইতে আরো বেশি স্বৈরাচার। আজ শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এফডিসিতে নির্বাচন ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে নির্বাচন কমিশন আইন নিয়ে এক ছায়া সংসদে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর রাজনৈতিক দল ও জনগণের আস্থা না থাকলে নির্বাচন ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখোমুখী হয়। তাই আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে এর সুরাহা না হলে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে সংঘাত সংঘর্ষ তৈরি হতে পারে। আবারো ওয়ান ইলেভেনের মতো কোন পরিস্থিতি দেশের মানুষ দেখতে চায় না। সাধারণ মানুষ একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও ক্রেডিবেল ইলেকশন প্রত্যাশা করে। তাই দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার কি হবে তার একটা গ্রহণযোগ্য পথ তৈরি করতে হবে। কিরণ বলেন, বিভিন্ন অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজনের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ভবিষ্যতে নির্বাচন ব্যবস্থার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কারো ওপর যদি এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসে তা হবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। তাই নির্বাচন কমিশনে ভবিষ্যতে যারাই দায়িত্ব পাবেন তাদেরকে নির্বাচন ব্যবস্থার সচ্ছতা নিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, এনবিআর এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন এর নাম প্রস্তাব করা হয়। সার্চ কমিটি এই ৪ জন থেকে যে কোন একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তাদের বিবেচনায় নিতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ৪ দফা সুপারিশ প্রদান করেন।
মুজিবুল হক চুন্নু আরো বলেন, চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেক জায়গায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর জন্য সরকারি দল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাপ দেয়া হয়েছে। ফলে অনেক স্থানে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের প্রার্থী হওয়া ও ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিলো না। আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার মতো যোগ্য প্রার্থী খোজা হচ্ছে। বেকার সমস্যা সমাধান ও কর্মমূখী শিক্ষা চালুসহ শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য জাতীয় পার্টির রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। যা জাতির সম্মুখে উত্থাপন করা হবে।

প্রতিযোগিতায় ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়াকে পরাজিত করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ এর বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ