Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনেগাল ফাইনালে, চূড়ায় মানে

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:১১ এএম

ম্যাচে ঘটনার কমতি ছিল না। দুটি পেনাল্টি বাতিল করেছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর)। প্রথম পেনাল্টির ঘটনায় বুরকিনা ফাসোর গোলকিপার হার্ভে কফি চোট পেয়েছেন। ৬৯ মিনিট পর্যন্ত তবু গোল পায়নি কেউ। ৬ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়েছে সেনেগাল। ৬ মিনিট পরই ব্যবধান কমিয়েছে বুরকিনা ফাসো। নাটকীয় এক ম্যাচে তবু অতৃপ্তি ছিল। সেটা দূর করেছেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড সাদিও মানে। ম্যাচের মীমাংসা টানা গোল করেছেন, যাতে ছুঁয়েছেন সেনেগালের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। মানের রেকর্ডের স্বাদ নিয়েই বুরকিনা ফাসোকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সের ফাইনালে উঠে গেছে সেনেগাল।
গতপরশু রাতে ইয়াউন্দের আহমাদু আহিদজো স্টেডিয়ামে প্রথম সেমি-ফাইনালের সবকটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে, ১৭ মিনিটের মধ্যে। ঘটনাবহুল প্রথমার্ধের পর ৭০তম আবদু দিয়ালোর গোলে এগিয়ে গিয়েছে সেনেগাল। ৭৬ মিনিট মানের সহযোগিতায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন পিএসজি মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গে। কিন্তু বুরকিনা ফাসো হাল ছাড়েনি। ৮২ মিনিটে ব্যবধান কমান ব্লাতি তোরে। ৮৭ মিনিটে ইসমাইলা সারের পাস থেকে সেনেগালকে স্বস্তি দেন দলের সেরা তারকা মানে। এ নিয়ে সেনেগালের হয়ে ২৯ গোল হয়ে গেল মানের। দেশটির হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড এত দিন ছিল শুধু হেনরি কামারার। উলভারহ্যাম্পটন, সাউদাম্পটন ও ওয়েস্টহাম ইউনাইটেডের মতো ক্লাবে খেলা এই স্ট্রাইকার ৯৯ ম্যাচে করেছেন ২৯ গোল।
এদিন নিজের ৮৬তম ম্যাচেই কামারাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন মানে। রেকর্ডটি নিজের করে নিতে হাতে অনেক সময় পাচ্ছেন ২৯ বছর বয়সী মানে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে আফ্রিকার সেরা দল সেনেগাল। ২০০২ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল দলটি। সে দলই মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় কখনো শিরোপা জেতেনি! এদিনও ভাগ্য তাদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে। প্রথমার্ধেই দুবার পেনাল্টি পেয়েছে তারা। কিন্তু ভিএআর দুটোই বাতিল করে দিয়েছে। মানেও স্বীকার করেছেন, ‘ফাইনালে ওঠার কাজটা কঠিন করে তুলেছিল প্রতিপক্ষ, খুব ভালো একটা দলের বিপক্ষে খেলেছি, যারা অনেক সমস্যায় ফেলেছে। আমরা কঠিন এক ম্যাচ হবে জেনেই নেমেছিলাম এবং তাই হয়েছে। কিন্তু আমরা মাথা ঠান্ডা রেখেছি এবং অনেক সুযোগ সৃষ্টি করেছি। আমার ধারণা জয় প্রাপ্য আমাদের।’
টুর্নামেন্টের ইতিহাসে টানা দ্বিতীয় ও মোট তৃতীয়বার ফাইনালে উঠল সেনেগাল। ২০০২ আসরে প্রতিযোগিতাটিতে প্রথম ফাইনালে উঠেছিল সেনেগাল। এরপর গত আসরে আবার ফাইনালে উঠলে আলজেরিয়ার কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভাঙে তাদের। তৃতীয়বারে কি তারা পাবে শিরোপার স্বাদ? জবাব মিলবে আগামী রোববারের ফাইনালে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ক্যামেরুন ও মানের ক্লাব-সতীর্থ মোহাম্মদ সালাহর মিসরের মধ্যকার জয়ী দলের বিপক্ষে। দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে গতরাতেই মুখোমুখি হয় দল দুটি। এরই মধ্যে হয়তো জেনেও গেছেন কাকে প্রতিপক্ষ পেয়েছে মানের দল। তবে যে-ই হোক, তা নিয়ে ভাবতে রাজি নন মানে। ২০১৯ সালেও টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল তারা। কিন্তু মূল কাজ করা হয়নি তাদের। আলজেরিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল সেনেগাল। এবার আর সেটা হতে দিতে চান না এই ফরোয়ার্ড, ‘আমরা কেমন দারুণ ছন্দে আছি, সেটা এ ম্যাচই দেখিয়েছে। আমরা জানতাম টানা দুটি আফকনের ফাইনালে ওঠা সহজ হবে না। কিন্তু আমাদের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো এবার পুরো কাজ শেষ করা এবং জেতা, সেটা যার বিপক্ষেই (ফাইনাল) হোক না কেন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেনেগাল ফাইনালে

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ