গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বহু আলেম ওলামা পীর-মাশায়েখের উস্তাদ বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আলহাজ মাওলানা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (৮৭) আজ বিকেলে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বার্ধক্য জনিত কারণে শারীরিক অসুস্থতা অনুভূত হলে তার পরিবারের সদস্যরা রাজধানীর জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক পুত্রসহ অসংখ্য ভক্ত গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের ইন্তেকালের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কলাগাছিয়া হাজবাদী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। আগামীকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা এবং দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বাদ আসর ঝিগাতলা জামে মসজিদে। পরে মিরপুরের মনিপুর বাবা হুজুর মসজিদের পাশে মরহুমের লাশ দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের আইন ও ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক এটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফের অনুমোদনে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে মাওলানা সালাহ উদ্দিন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারী তিনি বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে কর্মস্থলে যোগদান করেন।
প্রবীণ আলেমে দ্বীনের ইন্তেকালে দেশের মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন গভীর শোক প্রকাশ করেছে। মরহুমের ইন্তেকালে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল শাব্বীর আহমদ মোমতাজী এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর প্রতিষ্ঠিত দেশের ঐতিহ্যবাহী মহাখালিস্থ মসজিদে গাউছুল আজমে মাওলানা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। মসজিদে গাউছুল আজমে খতিব থাকাকালীন হুজুরকে খুব কাছ থেকে দেখা ও সান্নিধ্য লাভের সুযোগ হয়েছে। ন্যায় নিষ্ঠা ও সততার গুনে গুণান্বিত এ প্রবীণ আলেম অসংখ্য ব্যাংক বীমার শরীয়াহ্ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, কেন্দ্রিয় সদস্যের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বেশ কিছু ইসলামিক সংগঠনের উপদেষ্টা ও নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন কলেজ, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শ্রীপুর ভাংনাহাটি রহমানিয়া কামিল মাদরাসা গাজীপুরের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা সরকারী আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে ১৯৯০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেন।
জমিয়াত নেতৃদ্বয় মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি শোকার্ত পরিবার পরিজন ধৈর্য ধারণ করতে পারেন সেজন্য আল্লাহর দরবারে দেয়া প্রার্থনা করেন।
মরহুম মাওলানা সালাহ উদ্দিনের ইন্তেকালে আরো যেসব নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন তারা হচ্ছেন, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ডের সাবেক সদস্য আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দার, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মুফতি মুজিবুর রহমান, নির্বাহী সভাপতি ও জাতীয় সংহতি মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস ও মহাসচিব সৈয়দ মসিহুদ্দৌলা, নির্বাহী মহাসচিব আবুল কাসেম মুহাম্মদ ফজলুল হক, শীর্ষ নেতা সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দিদী, ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান ও মহাসচিব এম এ মতিন, ইসলামী যুবসেনার সভাপতি গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া ও ইসলামী ছাত্রসেনার সভাপতি মুহাম্মদ মারুফ রেজা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।