Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পূর্ব ইউরোপে সেনা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ‘ধ্বংসাত্মক’ বললো রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১০:০৮ এএম

ইউক্রেন-রাশিয়া উত্তেজনার মধ্যে ন্যাটোর হাত শক্তিশালী করতে পূর্ব ইউরোপে আরও তিন হাজার সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এটিকে ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ মন্তব্য করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। খবর এএফপি’র।

ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন লাখ খানেক সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়নি রাশিয়া। পুতিন বাহিনী যেকোনো সময় সাবেক সোভিয়েত দেশটি আক্রমণ করতে পারে বলে বারবার আশঙ্কাপ্রকাশ করছে পশ্চিমারা। এ অবস্থায় পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর শক্তি বাড়াতে আরও তিন হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিলো ওয়াশিংটন।

এ তিন হাজারের মধ্যে জার্মানিতে থাকা এক হাজার মার্কিন সেনা পাঠানো হচ্ছে রোমানিয়ায় এবং আরও দু’হাজার সেনা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র থেকে জার্মানি ও পোল্যান্ডে যাবে।

বাড়তি সেনা মোতায়েনের ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যতক্ষণ আগ্রাসী আচরণ করবেন, আমরা পূর্ব ইউরোপে আমাদের ন্যাটো মিত্রদের আশ্বস্ত করতে থাকবো যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে রয়েছে।

বাইডেন প্রশাসনের এমন ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্দার গ্রুশকো সতর্ক করে বলেছেন, এটি দুই পক্ষের সমঝোতার পথ আরও কঠিন করে তুলবে। পূর্ব ইউরোপে বাড়তি মার্কিন সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তকে ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে সামরিক উত্তেজনা বাড়বে ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সুযোগ কমে আসবে।

রাশিয়াকে ইউক্রেন আক্রমণ থেকে বিরত রাখতে হুমকি-ধামকির পাশাপাশি কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো। যদিও মস্কো বারবার বলে আসছে, কেউ বাধ্য না করলে তাদের ইউক্রেন আক্রমণের কোনো ইচ্ছা নেই।

বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ঘোষণা দিয়েছেন, এ বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি শিগগির মস্কো সফরে যাবেন। একই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁও। তবে তার বিষয়টি নির্ভর করছে অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আসন্ন ফোনালাপের ওপর।

এদিকে, পেন্টাগন মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপে নতুন সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত ন্যাটোর প্রতি পূর্বপ্রতিশ্রুতির অংশ মাত্র। কোনো মার্কিন সেনা ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে যাচ্ছে না। কারণ, তারা এখনো ন্যাটো সদস্য নয়।

তবে পেন্টাগনের এমন কথায় পুতিন ভরসা করবেন বলে মনে হয় না। তিনি বল পশ্চিমাদের কোর্টে ঠেলে গত মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই চাচ্ছে রাশিয়া যেন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায়। এর মাধ্যমে মস্কোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ইচ্ছা ওয়াশিংটনের।

সূত্র: এনডিটিভি



 

Show all comments
  • shirajumazumder ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১০:৫৭ এএম says : 0
    A single matter can burn the world. So finish the matter by negotiation instead of Arms show down. As a result world will be save from danger and save as much valuable life. don't forget the scenery of HEROSHIMA and NAGASHAKI OF JAPAN.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ