বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা। গত কয়েক দিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি-কাশি নিয়ে শিশু রোগীদের চাপ অত্যধিক বেড়ে গেছে। নির্ধারিত বেডের বিপরীতে এখানে তিন থেকে চারগুণ বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে গড়ে ৫০০ রোগী ভর্তি থাকে। আর বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন আরও প্রায় এক হাজার রোগী। রোগীতে ঠাসা এই হাসপাতালের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হাসপাতালের ৪ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে। সর্দি, কাশি এবং নিউমেনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০ জন করে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
হাসপাতালের ২৪ বেডের বিপরীতে এখানে গড়ে ৮০ থেকে ১০০ জন শিশু রোগী ভর্তি থাকছে। বুধবার সকালে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ছিল ৭৮ জন। আর ২৬ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত ৭০৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। অর্থাৎ গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০’র বেশি শিশু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি-কাশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিফ্তা মালিহা ও ডা. সোহান জানান, বর্তমানে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে শিশু রোগী চাপ বাড়ছে। অধিকাংশ শিশুই আসছে ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ অন্যান্য সমস্যা নিয়ে। যদিও আক্রান্ত সব শিশুই চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। আমরা অভিভাবকদের শীতের সময়ে শিশুদের যাতে ঠান্ডা না লাগে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন বলেন, শুধু শিশু ওয়ার্ডে নয় হাসপাতালের নন-কোভিড ওয়ার্ডগুলোতেও গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ বেশি। চাপ সামাল দিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।