নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া যেকোনো টুর্নামেন্টেই নজর রাখেন নির্বাচকরা। বিপিএলের পরপরই আফগানিস্তান সিরিজ বলে এবার পুলের খেলোয়াড়দের দিকে বাড়তি নজর তাদের। তবে এখন পর্যন্ত আশাবাদী হওয়ার মতো তেমন কিছু তাদের চোখে পড়েনি। বিশেষ করে, তরুণদের ব্যাটে রান না থাকায় হতাশ প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন।
বিপিএল শেষেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। দীর্ঘ বিরতি থাকলেও ওয়ানেডে দল মোটামুটি গোছানোই আছে। সেটা নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই নির্বাচকদের। তাদের মূল ভাবনা টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে। এই সংস্করণের বিশ্বকাপ থেকে সময়টা মোটেও ভালো কাটছে না। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর দেশের মাটিতে গত নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে হয় হোয়াইটওয়াশড।
গত কয়েক মাসে প্রচুর ম্যাচ খেললেও টি-টোয়েন্টিতে এখনও দল গুছিয়ে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল এই সংস্করণে জাতীয় দলে নেই অনেক দিন ধরে। তরুণদের নিয়ে গড়া টপ অর্ডার মেটাতে পারছে না প্রত্যাশা। মিডল অর্ডার একটু টানলেও শেষটায় আবার ঝড় তোলার মতো পাওয়া যাচ্ছে না কোনো ফিনিশার। বিপিএলে এগুলো সমাধানের কোনো ইঙ্গিত এখনও মেলেনি। বরং হতাশার চিত্র সেখানেও প্রকট। নির্বাচকদের হতাশ হওয়ার অনেক উপকরণই আছে এখানে।
টি-টোয়েন্টি দলের প্রথম পছন্দের ওপেনার নাঈম শেখ টুর্নামেন্টে ব্যাট করতে পারছেন না নিজের জায়গায়। এই সংস্করণের দলের ভাবনায় থাকায় স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব শুরুতে দলই পাননি। পরে আমিনুল ঢাকা দলে সুযোগ পেলেও একাদশে আদৌ সুযোগ পাবেন কিনা, শঙ্কা রয়েই গেছে। বিপিএল যেখানে হতে পারত প্রস্তুতির মঞ্চ, সেখানে প্রকট হচ্ছে একের পর এক ঘাটতি। এমন একটা পরিস্থিতি মোটেই পছন্দ হচ্ছে না মিনহাজুলের। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের মাঝের বিরতিতে জানালেন, কিছু কিছু ব্যাপারে তারা বেশ চিন্তিত, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ম্যানেজম্যান্ট কীভাবে কম্বিনেশন সাজাবে এটা তাদের ব্যাপার। এটা নিয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারব না। যেহেতু (নাঈম) টপে খেলছে না, এটা একটা চিন্তার বিষয়। পরবর্তী রাউন্ডগুলোতে দেখতে হবে ওরা কেমন করছে। কীভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ওদের খেলাচ্ছে, এটা দেখা হবে।’
টি-টোয়েন্ট অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বাধীন মিনিস্টার ঢাকায় কখনও তিন কিংবা চারে ব্যাট করেন নাঈম। সর্বশেষ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে তিনি ব্যাটিং পান সাতে। মিনহাজুলের আশা, নাঈমের মতো জাতীয় দলের পুলে থাকা অন্য ব্যাটসম্যানরাও দ্রুতই ফিরবেন রানে, ‘টুর্নামেন্টের মাঝ পথে কে কেমন করছে এর বিশ্লেষণ করা কঠিন। তবে এখন পর্যন্ত ওদের পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত নয়। আশা করছি, পরবর্তী রাউন্ডগুলোতে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী আছি।’
আশা করছি, সামনের পর্বগুলোতে যারা অফ ফর্মে আছে, তারা একটা সুযোগ পাবে নিজেদের মেলে ধরার।’
যিনি টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে সবচেয়ে সফল, তাকে আপাতত টি-টোয়েন্টি দলে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান তামিমের। এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে তার রান ২৬২। গত বৃহস্পতিবার এই ওপেনার জানান, আগামী ছয় মাস আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আর খেলবেন না। তামিমের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে মিনহাজুল বললেন, আগেভাগেই এই ওপেনারকে দলে ফেরানোর চেষ্টা করছেন তারা, ‘তামিম না থাকলে, আমাদের এখন যারা আছে তাদের নিয়েই এগোতে হবে। ওকে আমরা অনুরোধ করছি, ওর সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি কীভাবে আবার তাড়াতাড়ি নিয়ে আসা যায়। এখানে আরেকটা ব্যাপার আছে, ২০২২ সালে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হবে অনেকটা সময়। এই বছরের সূচি আমি যতটুকু দেখেছি তাতে স্রেফ ৭ দিনের বিরতির পরই কিন্তু আবার খেলা হবে। সুতরাং পরপর অনেক খেলা আছে। সুতরাং সেগুলোও মাথায় রাখতে হবে। চিন্তা-ভাবনা করে ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তো দেখা যাক।’ তামিমের যা পারফরম্যান্স, নির্বাচক হিসেবে তাকে এখনই দলে চাইতেন কিনা জানতে চাইলে মিনহাজুল বলেন, এখানে একটাই জবাব আছে, ‘অবশ্যই দলে চাইতাম। সেরা পারফরমারকে তো সেরা সময়ে পাওয়ার একটা চিন্তা নির্বাচকদের থাকেই। সেরা সময়ে, সেরা খেলাটাই তো আমরা চাই। যেটা আমাদের দেশের জন্য দরকার।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্ট সিরিজে হুট করে ওপেনিংয়ে নামা সাইফ হাসান দলই পাননি বিপিএলে। নাঈম ৫ ইনিংস মিলিয়ে করেছেন কেবল ৪২ রান। রান নেই সৌম্য সরকারের ব্যাটে। ব্যর্থতার বিশ্বকাপের পর বিপিএলে ফিরে রানের আভাস দিলেও পরের ম্যাচেই শূন্য রানে ফিরেছেন লিটন দাস। পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচে ওপেন করা নাজমুল হোসেন শান্ত কিছু রান পাচ্ছেন। তবে এখনও টুর্নামেন্টে তার ব্যাট থেকে আসেনি কোনো ফিফটি। দল ঘোষণা করার আগে এখন বেশ কদিন সময় আছে নির্বাচকদের হাতে। আগামী কয়েকদিন সম্ভাবনাময়দের পারফরম্যান্স আরও গভীরভাবে দেখার কথা জানালেন মিনহাজুল, ‘১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমরা চূড়ান্ত দল দিয়ে দেব। টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে একটু আলোচনা (বাকি) আছে। সবকিছু মিলিয়ে প্রাথমিক রাউন্ড যখন শেষ হবে, এলিমেনেটর রাউন্ডের আগেই বসে করণীয়টা করা হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।