মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন যে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে (আইওকে) মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে পশ্চিমাদের মনোনীত নীরবতা এবং শিনজিয়াং-এ উইঘুর মুসলিমদের সাথে চীনের কথিত নিপিড়নের প্রচারণার ক্ষেত্রে তাদের নীতি দু’মুখো। শনিবার ইসলামাবাদে চীনা সাংবাদিকদের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে আমাদের যা হজমে খুব কষ্ট হয় তা হ’ল, তারা যখন উইঘুরদের নিয়ে কথা বলে, পশ্চিমে তারা আইওকে নিয়ে বেশি কথা বলে না কারণ সেখানে ভারত কর্তৃক সর্বোচ্চ মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইওকেতে মানবাধিকারের বিষয়ে একরকমের মনোনীত নীরবতা রয়েছে, যেখানে প্রায় নয় মিলিয়ন মানুষ মূলত সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে (এটি) প্রায় ৮ লাখ ভারতীয় সৈন্য বেষ্টিত একটি খোলা কারাগারে বসবাস করছে। একদিকে তারা শিনজিয়াং সম্পর্কে কথা বলছে, কিন্তু অন্যদিকে, আইওকেতে এই নীরবতা পালন করছে, যা আমাদের বধির করে দেয়ার মতো।’ তিনি বলেন, ‘যখন শিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের প্রতি আচরণ নিয়ে পশ্চিমাদের কাছ থেকে প্রচুর সমালোচনা এসেছিল, চীনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত অঞ্চলটি পরিদর্শন করেন এবং দেখেন যে, এটি আসলে মোটেই সত্য নয়।’
বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিতে ইমরান খানের নির্ধারিত চীন সফরের কয়েকদিন আগে চীনা গণমাধ্যমের কাছে তিনি এসব বলেন। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইভেন্ট বয়কটের মধ্যে তার এই সফরের খবরটি সামনে আসে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অলিম্পিকে যোগ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন যে, এটি করা তার জন্য প্রথমবার হবে এবং মহামারী যখন অনেক ক্রীড়া ইভেন্টকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করেছে, তখন ইভেন্টটি নিয়ে চীনের এগিয়ে যাওয়া অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দু’দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্কের প্রশংসা করেন এবং জোর দিয়ে বলেন যে, সময়ের সাথে সাথে এটি কেবল শক্তিশালী হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে এমন একটি অনুভ‚তি রয়েছে যে, চীন সর্বদা প্রয়োজনের সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং কঠিন সময়ে আমাদের সমর্থন করেছে। একইভাবে পাকিস্তানও সবসময় চীনের পাশে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি আরও বলেছেন যে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর প্রকল্প দেশগুলিকে আরও সংযুক্ত করেছে এবং শিল্প উন্নয়নে লক্ষ্য নির্ধারণ করার জন্য এর দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করেছে।
ইমরান খান বলেছেন যে, খেলাধুলা, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং শহর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মতো আরও অনেক ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য পাকিস্তান উন্মুখ। তিনি চীনা জনগণকে তাদের আসন্ন চন্দ্র নববর্ষ উৎসবের জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।