পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়ায় ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২০’-এ জনআকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। এতে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ কংগ্রেস। একই সাথে দলটি ‘নির্বাচন কমিশন গঠন আইন’ এর খসড়ার আলোকে আইন প্রণয়ন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এক ভার্চুয়াল সভায় গতকাল দলের নেতারা এ মন্তব্য করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম।
বাংলাদেশ কংগ্রেস নেতারা বলেন, আইনটি সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে বাস্তবায়ন করা হয়নি। এখানে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছ। কিন্তু পাস হওয়া আইনে সার্চ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। আইনে শুধুমাত্র প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে, যা আইনটির নামেই বোঝা যায়।
সভায় অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে আইনটির নাম ‘নির্বাচন কমিশন আইন’ হওয়া বাঞ্ছনীয়। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগসহ কমিশন পরিচালনা, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, তাদের সুযোগ-সুবিধা ও কাজের শর্তাবলী সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট বিধান থাকতে হবে।
অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন পরিচালনা ও রাজনৈতিক দলগুলোকে দেখভাল করা সংক্রান্ত বিষয়গুলো উক্ত আইনে সন্নিবেশিত থাকা উচিত ছিল। এক্ষেত্রে সংবিধানের সপ্তমভাগে প্রদত্ত বিধানাবলী অনুসরণসহ সংবিধান ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের বিধান রাখা দরকার।
আলোচনা সভায় দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ক্লিন্টন হাওলাদার পাভেল ও শহীদুল ইসলাম চৌধুরী দুলদুল, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ, ন্যাশনাল সিনেট সদস্য মো. শাহজাহান, অ্যাডভোকেট দেবদাস সরকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মিজানুর রহমান, নির্বাহী সদস্য এম এ হক আকরাম, সাংবাদিক মোহসীন হোসেন প্রমুখ অংশ নেন।
‘নির্বাচন কমিশন গঠন আইন’ এর একটি খসড়া প্রণয়ন করে তার আলোকে আইন প্রণয়নের জন্য এর আগে আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ কংগ্রেস। সরকার এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরে দলটির পক্ষে হাইকোর্টে রিট করেন মহাসচিব ইয়ারুল ইসলাম।
‘বিচারবিভাগ আইন প্রণয়নের জন্য সরকারকে নির্দেশনা দিতে পারে না’ এ যুক্তিতে রিটটি খারিজ করেন বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ। এছাড়া আইনটি প্রণয়নের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে দলটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।