পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে সরকার যে আইন করছে এতে সরকারের উদ্দেশ্য ভালো নয় বলে মনে করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সংগঠনটির সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, সুজন খসড়া দিলে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, আইন করার মতো সময় নেই। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপের সময়ও তিনি একই কথা বলেছেন। হঠাৎ করে আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হলো, সংসদেও উঠে গেল। সরকারের এখানে অসৎ উদ্দেশ্য আছে, তারা আগের মতো নির্বাচন করতে চায়। সবাইকে সোচ্চার হতে হবে, আন্দোলন বেগবান করতে হবে। কারণ আগামী সংসদ নির্বাচনে জয়ের জন্য পছন্দের ইসি নিয়োগ করতে চায় সরকার।
গতকাল রোববার ‘সরকার প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশন আইন এবং নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলা হয়। অনলাইনে এটির আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এতে বলা হয়, ইসি নিয়োগে ২০১৭ সালের প্রজ্ঞাপন ও খসড়া আইনের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। খসড়া দেখে এটিকে ইসি নিয়োগ আইনের চেয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের আইন বেশি মনে হয়েছে। আলোচনায় সব পক্ষের মতৈক্যের ভিত্তিতে যুগোপযোগী ও যথাযথ আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে সুজন।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবদুল মতিন বলেন, ইসি গঠনের সাচিবিক দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের হাতে থাকলে সার্চ কমিটির সদস্যদের কিছু করার থাকে না। সদস্যদের হাতে তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া সব কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে করতে হয় প্রেসিডেন্টকে। তাই প্রেসিডেন্ট স্বাধীনভাবে সার্চ কমিটি বা ইসি গঠন করতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া ইসি নিয়োগের জন্য সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা দিতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, এটি একটি ছলচাতুরির আইন হলো, দুর্ভাগ্যজনক। জনগণের সঙ্গে ছলচাতুরি করতে সরকার ইসি আইনকে বেছে নিয়েছে, এটা তো হতে পারে না। সরকার আগামী নির্বাচনে জয়ের জন্য এটি করেছে। সরকার মনোনীত সার্চ কমিটির মাধ্যমে সরকারের পছন্দের ইসি গঠন হবে। সারা বিশ্বেই কর্তৃত্ববাদী সরকার এমন একটা ব্যবস্থা করে, যাতে নির্বাচনে তারা জেতে। আগামী নির্বাচনের আগে প্রথম ধাপ হচ্ছে ইসি গঠন।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নামের তালিকা প্রকাশ করা না হলে তাঁদের নিয়ে বিতর্কের সুযোগ থাকছে না। সংসদে এসব নাম নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা থাকা দরকার। ইসি আইন নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে বিতর্কের সৃষ্টি হবে।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত সবার নাম প্রকাশ করতে হবে। তাহলে তাঁদের অতীত সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। বর্তমান সিইসি কে এম নূরুল হুদা বিএনপি সরকারের ভুক্তভোগী আর আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী ছিলেন। নিয়োগের আগে তাঁর নাম প্রকাশ পেলে এগুলো সামনে আসত। নিজেদের মতো নির্বাচন করতে সরকার কারও সঙ্গে আলোচনা না করে ইসি আইন করেছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারের মধ্যে একটা নার্ভাসনেস কাজ করছে। তাই ইসি আইন নিয়ে তাড়াহুড়া করছে। জনগণের ভোটের অধিকার যদি বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে আইন বা সার্চ কমিটি কোনো কাজে আসবে না। নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার মনোবৃত্তি এখনই পরিত্যাজ্য। ইসি নিয়োগের প্রক্রিয়া আরও অংশগ্রহণমূলক করা দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার। তিনি বলেন, ইসির জন্য সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নাম প্রকাশ ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি খসড়ায় নেই। এর মানে নিয়োগ নিয়ে জনগণ অন্ধকারেই থেকে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশেই নিয়োগের সম্ভাবনা বেশি থাকে এতে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।