পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধানের আলোকে আইন প্রনয়নসহ প্রেসিডেন্টের কাছে চার দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশ। প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে গতকাল বঙ্গভবনে সংলাপ অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। এরপর সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্টের সাথে সংলাপে অংশ নিয়ে খেলাফত মজলিশও নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব তুলে ধরেছে।
বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে তিনি বলেন, আমরা চার দফা প্রস্তাব দিয়েছি। তার মধ্যে আইন প্রণয়নের কথা বলেছি। সংবিধানের ১১৮ (১) ধারায় আইনের মাধ্যমে ইসি গঠনের কথা বলা আছে। প্রেসিডেন্ট নিজেও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমি নিজেই সংবিধানের মানুষ। যেহেতু সংবিধানে আছে, একবার হয়ে গেলে আর প্রশ্নের উদ্রেক হয় না। অতএব তিনি একমত পোষণ করেছেন। আইনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। আইনের যে প্রক্রিয়া আছে, তাতে আলাপ আলোচনার ব্যাপার আছে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট আমাদের মতামতকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন। তিনি নিজেও চান আইন দ্রæত হোক।
নজিবুল বশর বলেন, আইনের পক্ষে মতামত দিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যেহেতু একটু সময় দরকার। এটি সময় নিয়ে করলেই ভালো। আলোচনা করে প্রয়োজনে আমিও বসতে পারি। সরকারও বসতে পারে। আলোচনা করে একটি খসড়া তৈরি করে সংসদে পাস হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের হাতে এক মাস সময় আছে। যদি এই মুহ‚র্তে আইন করা নাও যায়, তারপরও ভবিষ্যতে আইন করতে হবে। এটা এরই মধ্যে জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। সরকারের আইনমন্ত্রীও বলেছেন, তিনিও এ বিষয়ে একমত। এটার যেন ব্যত্যয় না ঘটে তার জন্য প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছি।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন হতে পারে এমন ইঙ্গিত কি প্রেসিডেন্ট দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মাইজভান্ডারী বলেন, উনি ইঙ্গিত না দিলেও, আমি মনে করি সার্চ কমিটির মাধ্যমেই ইসি গঠন হবে। কেন সার্চ কমিটিতেই ইসি নিয়োগ হবে বলে আপনি মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নিজেই একজন আইন প্রণেতা। বহুকাল ধরে সংসদে আছি। আইন করতে হলে সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ কাল আইন করলে, পরশুই প্রশ্ন উঠবে।
নজিবুল বশর বলেন, আমরা প্রস্তাব দিয়েছি নিবন্ধিত দলগুলো ছাড়াও সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের সঙ্গে সংলাপ করার জন্য। কোনো ধরনের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী বা তাদের পরিবারের সদস্য কাউকে ইসি হিসেবে নিয়োগ না দিতে বলেছি। সার্চ কমিটির সদস্য সাংবিধানিক পদ থেকেই করার কথা বলেছি। সার্চ কমিটিতে একজন সাংবাদিককে রাখতে বলেছি। এছাড়াও বলেছি আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, সাবেক সচিব, শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিকে এ কমিটি রাখতে।
গত দুই সংলাপেও আইনের কথা বলেছিলেন। তারপরও সেটার বাস্তবায়ন হয়নি। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমি এ জন্য দুঃখিত। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে আইনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেটার বাস্তবায়ন কোনো সরকারই করেনি।
এ সময় দলের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ হাবিবুল বশর মাইজভাÐারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ কামাল নুরী আল-সুরেশ্বরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সৈয়দ আবু-দাউদ মসনবী হায়দার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ তৈয়বুল বশর, যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মুহাম্মদ আলী ফারুকী।
এদিকে সন্ধ্যার পর খেলাফত মজলিশের সদ্য কারামুক্ত সেক্রেটারি জেনারেল ড. আহমদ আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশগ্রহণ করে। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা জুবায়ের হোসাইন চৌধুরী, নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, মাওলানা আহমেদ আলী কশেমী, যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মোহাম্মদ মুনতাসির আলী ও ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।