Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জার্মানির ঘড়ি তৈরির শহর গ্লাসহ্যুটে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১:৫১ পিএম

জার্মানির গ্লাসহ্যুটে শহরের স্লোগান, ‘এই শহর সময়ের ঘরবাড়ি!’ কারণ সেখানে জার্মানির সবচেয়ে বেশি ঘড়ি কারখানা আছে৷ ১৮৪৫ সালে সেখানে প্রথম মেকানিক্যাল ঘড়ি তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়৷

জার্মানির ড্রেসডেন থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্লাসহ্যুটে৷ ১৮৪৫ সালে স্যাক্সোনি সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ঋণ দিয়ে গ্লাসহ্যুটেতে প্রথম ঘড়ির কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ফার্দিনান্দ আডল্ফ লাঙ্গে৷ বর্তমানে নয়টি ঘড়ি কারখানায় প্রায় ১,৭০০ জন কাজ করছেন৷ ফলে শিগগিরই হয়ত ‘মেড ইন গ্লাসহ্যুটে' একটি ট্রেডমার্ক হয়ে উঠতে পারে৷

গ্লাসহ্যুটে স্টেশনের সঙ্গে ‘নমোস' ঘড়ি কারখানার একটি ভবন আছে৷ ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি এখন জার্মানির সবচেয়ে বড় ঘড়ি নির্মাতা৷ কোম্পানির ডিজাইন ও ব্র্যান্ড প্রধান ইয়োডিথ বরোভস্কি বলেন, ‘১৭৫ বছর আগে ঘড়ি নির্মাতারা যেভাবে কাজ করতেন এখনও আমরা তার অনেক কিছু ব্যবহার করি৷ এখনও অনেক কাজ হাতে করা হয়৷’

তিনি জানান, ‘কিন্তু যে জায়গায় হাতের চেয়ে উচ্চপ্রযুক্তি ব্যবহার করলে মান ভালো হবে বলে মনে হয়, সেখানে আমরা তাই করি৷ যেমন এমন কিছু আছে যেগুলো চুলের চেয়েও পাতলা৷ অর্থাৎ মাইক্রোমিলিমিটার পর্যায়ের কাজের জন্য আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করি৷ এভাবে আধুনিকতা আর ঐতিহ্যের মিল ঘটে৷’

নমোসের ক্রনোমেট্রি বিভাগে খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হয়৷ তারা বাউহাউস ম্যুভমেন্ট থেকে ঘড়ির ডিজাইনের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন৷ দেশের বাইরেও নমোসের কয়েকটি অফিস আছে৷ ৫২ দেশে ঘড়ি রপ্তানি করে তারা৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্লাসহ্যুটে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ