পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
কিরঘিজস্তানের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্তে তাদের সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তাজিকিস্তানের সীমান্তরক্ষা বাহিনী। এর ফলে ছয়জন আহত হয়েছেন। গত বছরই দুই দেশের মধ্যে রক্তাক্ত সীমান্ত সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিরঘিজস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাজিকিস্তানের পক্ষ থেকে মর্টার, গ্রেনেড লঞ্চার দিয়ে আক্রমণ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার সকালে তাজিকিস্তানের কিছু মানুষ সীমান্তের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করে। পরে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিরঘিজস্তানের সীমান্তে সেনার ওপর তাজিকিস্তানের বাহিনী গুলি চালালে পরিস্থিতির অবনতি হয়। দুই দেশের মিডিয়া জানিয়েছে, গুলির লড়াইয়ের পর দুই দেশের সীমান্তের কাছে গ্রামগুলি থেকে মানুষ ভয়ে পালাতে শুরু করেছেন।
কিরঘিজস্তানের আঞ্চলিক সরকার জানিয়েছে, গুলিতে কউ মারা যাননি। তাজিকিস্তান সীমান্তরক্ষীদের তরফে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে স্থানীয় প্রশাসন ফেসবুকে জানিয়েছে, কিরঘিজস্তানের পক্ষ থেকেই সীমান্তের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
এই সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের সমস্যা আছে। দুই দেশই রাশিয়ার বন্ধু দেশ। দুই দেশেই রাশিয়ার সেনা ঘাঁটি আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দুই দেশের সমস্যা হলো, অনেক জায়গায় সীমান্ত খুবই অস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিছু অঞ্চলকে দুই দেশই নিজেদের বলে দাবি করে। সেজন্যই এখানে জল ও জমি নিয়ে নিয়মিত সীমান্ত সংঘর্ষ হয়। গতবছর সীমান্ত সংঘর্ষে অন্ততপক্ষে ৫০ জন মানুষ মারা গেছিলেন। তীব্র লড়াই হয়েছিল। তখন আশঙ্কা করা হয়েছিল, বড় বিরোধের দিকে এগোচ্ছে এই দুই দেশ। তখন সংঘর্ষ থামলেও এক বছর পর আবার সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।