নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চট্টগ্রামে জন্ম, বেড়ে ওঠা ক্রিকেটে হাতে খড়ি- তবে কি সেই চট্টগ্রামেই ক্রিকেটের শেষর শুরুটা করেই ফেললেন তামিম ইকবাল!
বেশ কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টিতে তামিমের ভবিষ্যৎ। তিনদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, ‘তামিম আর টি-টোয়েন্টি খেলতে চায় না’। তবুও তামিমের নিজের ভাষ্যটা কি, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ক্রিকেট সমর্থকেরা। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পরিষ্কার করেছেন বাঁহাতি ওপেনার। আগামী ৬ মাস আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলবেন না বলে জানিয়েছেন তামিম।
বাংলাদেশের জার্সিতে তামিম সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। গত অক্টোবর-নভেম্বরে হয়ে যাওয়া সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল ঘোষণার আগেও তরুণদের সুযোগ দেওয়া এবং নিজের প্রস্তুতির ঘাটতিকে কারণ দেখিয়ে বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তামিম। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজি মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন তামিম। সেখানে তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমার সঙ্গে গত কয়েক দিনে সভাপতি (নাজমুল হাসান), জালাল ভাই (ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস), (বোর্ড পরিচালক) কাজী এনাম ভাইদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে অনেক জায়গায় বৈঠক হয়েছে। উনারা অবশ্যই চাচ্ছেন যাতে আমি অন্তত বিশ্বকাপ পর্যন্ত টি টোয়েন্টি চালিয়ে যাই। আমার ব্যাপারটা আলাদা ছিল। সবাই মিলে যেটা ভালো হয় সে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ছয় মাস আমি (আন্তর্জাতিক) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে ভাবছি না।’
এই সময়ে তার পরিকল্পনাটা কী? সেটাও খোলাসা করেছেন তামিম, ‘এই কয়েক মাস আমার পুরো মনোযোগ থাকবে টেস্ট ও ওয়ানডেতে।’ তবে ৬ মাস পরে প্রয়োজন হলে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে আসতে পারেন তামিম, ‘আশা করি এই ছয় মাসে তরুণেরা এত ভালো খেলবে যে আমার আর প্রয়োজন পড়বে না। তারপরও ছয় মাস পর যদি এমন সময় আসে যে ক্রিকেট বোর্ড, নির্বাচক বা টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে বিশ্বকাপের আগে আমাকে দরকার, আমিও যদি প্রস্তুত থাকি, তখন আবার এটা নিয়ে আলাপ হবে। কিন্তু এই ছয় মাস নয়।’
গুঞ্জন আছে, মান-অভিমান থেকেই টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়াতে চান তামিম। কিন্তু সে বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘মান-অভিমান নিয়ে অনেক কথাই হয়। এখানে মাস-অভিমানের জায়গা অতটুকু নেই। আমি যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছি এটা পুরোপুরি ক্রিকেটীয় চিন্তা ভাবনা থেকে। এখানে কোনো বিতর্কের জায়গা নেই।’ টি টোয়েন্টি না খেলার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তামিম, ‘অনেক ক্রিকেটারই (টেস্ট ও ওয়ানডের) আগে টি-টোয়েন্টি ছেড়েছেন। বড় বড় ক্রিকেটাররাও এমনটা করেছেন। ওয়ানডে আমাদের সবচেয়ে প্রিয় সংস্করণ, খুব উপভোগ করি এটা। টেস্ট ক্রিকেট এমন একটা সংস্করণ...যখন থেকে ক্রিকেট ব্যাট ধরা শুরু করেছি, তখন দুটি ইচ্ছে ছিল- বাংলাদেশের হয়ে খেলব এবং টেস্ট খেলব।’
স্বাভাবিকভাবে টেস্টকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছেন তামিম। এর কারণ সম্পর্কে তামিম বলেন, ‘আপনারা জানেন টেস্ট ক্রিকেটের মূল্যটা কেমন। হয়তো এই সংস্করণে আমরা খুব শক্তিশালী দল নই। কিন্তু এখানে একটা সেঞ্চুরি বা ফিফটির মূল্য অন্যরকম। টেস্ট আমি যত দিন সম্ভব খেলে যেতে চাই। আমার বয়স ৩৩। ৩৪-৩৫ এ অনেকের অভিষেক হয়। তারা আরও পাঁচ বছর খেলে। আমার এখনো চার-পাঁচ বছর আছে ভালো ক্রিকেট খেলার। আমার পারফরম্যান্স ও ফিটনেস ঠিক থাকলে আরও চার-পাঁচ বছর খেলব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।