নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মেঘ ও হালকা রোদের লুকোচুরি ছিল সাগরপাড়ের লাকি ভেন্যু চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আকাশে। এ ভেন্যুতে আজ বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে খেলবে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্স। শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে তারকাসমৃদ্ধ কাগজে কলমে শক্তিশালী মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। প্রতিপক্ষ সিলেট সানরাইজার্স। চার দলই গতকাল মাঠে অনুশীলন করেছে এবং তাদের জয়ের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।
স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ঢাকা পর্বের দুই জয় পেয়ে আছেন বেশ ফুরফুরে মেজাজে। অনুশীলন শেষে তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের উইকেট সবসময় ব্যাটিং বান্ধব থাকে। দেখেশুনে খেলতে পারলে এখান থেকে রান পাওয়া যাবে। স্বাগতিক হিসেবে এখানে আমাদের চারটি ম্যাচ খেলতে হবে। তাই আমাদের জয়ের প্রত্যাশা থাকাটাই স্বাভাবিক। ঢাকায় প্রথম ম্যাচ হারলেও আমি ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছিলাম। কিন্তু যেহেতু টিম জিতেনি তাই আমি তেমন খুশি হতে পারি নি। দল যদি জয়ী হতো, তাহলে বেশি খুশি হতাম। তাই অধিনায়ক হিসেবে চট্টগ্রামের চারটি ম্যাচে নিজে ভালো খেলার পাশাপাশি দলের জয়ও চাই।’
প্রথম ম্যাচে বরিশালের কাছে হার। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ঢাকা ও পরের ম্যাচে খুলনাকে হারিয়ে চট্টগ্রাম এরইমধ্যে নিজেদের প্রমাণ করেছে। ব্যাট, বল ও ফিল্ডিং-তিন বিভাগেই ব্যালেন্স টিম হিসেবে খেলেছে। চট্টগ্রামে হোম সুবিধা নিয়ে সব ক’টি ম্যাচ জিতে পরের পর্ব নিশ্চিত করতে চান মিরাজরা, ‘টিমওয়ার্কের কারণে আমরা শেষ দুই ম্যাচ জিতেছি। সবাই ভালো খেলছে। তাই আত্মবিশ্বাস আছে। হোমগ্রাউন্ডে জিতে সমর্থকদের আশা পূরণ করতে চাই। দলে তেমন পরিবর্তন হবে না।’
অপরদিকে দুই ম্যাচের একটি হারা খুলনাও আজ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামছে। চট্টগ্রামের বিপক্ষে তারা পাচ্ছে সৌম্য সরকারকে। এটাকে বড় পাওনা হিসেবে দেখছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তিনি অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথম দুইটা ম্যাচে সৌম্যকে পাইনি। ও শুধু ব্যাটিং নয়, ভালো বোলিং এবং ফিল্ডিংও করে। আশা করছি টপঅর্ডারে ও ভালো কিছু দিতে পারবে। পাশাপাশি খেলার সুযোগ পেলে আমি নিজেও বড় রান করতে চাই। দলকে জেতাতে চাই।’
বিপিএলের ঢাকার প্রথম পর্বের প্রায় সবক’টি ম্যাচই হয়েছে লো স্কোরিং। চট্টগ্রাম বরাবরই রানপ্রসবা। এবারও সেরকমই উইকেট থাকবে বলে আশাবাদী মুশফিক, ‘চট্টগ্রাম হাইস্কোরিং গ্রাউন্ড। এখানে যতগুলো বিপিএল হয়েছে, প্রতিবারই বড় বড় স্কোরের ম্যাচ হয়েছে। এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাওয়াতে চাই। ফ্রেশ উইকেট আশা করছি ব্যাটিং সহায়ক হবে। বোলারদের জন্য কঠিন উইকেট হবে। সেটা মাথায় রেখেই খেলব আমরা।’
এদিকে সন্ধ্যায় সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি নিশ্চিতভাবেই তারকাবহুল মিনিস্টার ঢাকার টিকে থাকার লড়াই। তারা এখানে ঘুরে দাঁড়াতে চায়। প্রথম ম্যাচে কুমিল্লার বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করা সিলেট অবশ্য দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকাকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আজও তাদের প্রতিপক্ষ সেই ঢাকা। তাই সিলেটের আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।