Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে ৩০ বছরের পুরনো বিবাদ মীমাংসা করলো সউদী আরব ও থাইল্যান্ড

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:০৮ পিএম

চুরি হওয়া হীরা-জহরত আর কূটনীতিক খুনকে ঘিরে সউদী আরব এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে ৩০ বছরের পুরনো এক বিবাদের অবসান ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুট জানে ওচা প্রথম কোনো শীর্ষ থাই নেতা যিনি ১৯৮৯ সালের পর সউদী আরব সফর করেছেন এবং ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এই দুই দেশ আবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয়েছে। বিবিসির ব্যাংকক সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, নতুন করে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুটের সউদী আরব সফর ছিল এক মাইলফলক। কারণ এই সফরের মধ্য দিয়ে দু'দেশের মধ্যে এক বিব্রতকর কেলেঙ্কারির পরিসমাপ্তি ঘটেছে।

৩০ বছর আগের কেলেঙ্কারি-
সউদী আরবে থাইল্যান্ডের এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী এক সউদী রাজকুমারের কাছ থেকে বহুমূল্যের গহনা চুরি করে। চুরি যাওয়া মালের মধ্যে ছিল একটি ৫০ ক্যারেট নীল হীরা। এসব মণি-মুক্তার প্রকৃত মূল্য সম্পর্কে ওই কর্মীর কোনো ধারণা ছিল না এবং সে থাইল্যান্ডে স্বল্পমূল্যে সেগুলো বিক্রি করেছিল।

থাই পুলিশ চুরি যাওয়া গহনার কিছু অংশ উদ্ধার করে সউদী আরবে ফেরত পাঠায়। কিন্তু দেখা গেল এর বেশিরভাগই ছিল নকল। এরপর থাইল্যান্ডে দায়িত্বরত সউদী আরবের তিনজন কূটনীতিককে গুলি করে হত্যা করা হয়।

চুরি হওয়া হীরা-জহরতের সন্ধানে যে তদন্তকারীকে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়, তিনিও নিখোঁজ হয়ে যান। এই অপরাধের জন্য সন্দেহ করা হয়েছিল এমন দু’জন থাই নাগরিকও রহস্যজনকভাবে প্রাণ হারান। এই চুরির দায়ে শুধু ওই পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং একজন পুলিশ অফিসারের সাজা হয়েছিল। কিন্তু ওই নীল হীরাসহ চুরি যাওয়া গহনার বেশিরভাগের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

থাই প্রধানমন্ত্রী এবং সউদী যুবরাজের বৈঠকের মধ্য দিয়ে এখন দুই দেশই আশা করছে পর্যটন এবং পেট্রোকেমিক্যালের মত খাতে সহযোগিতা বাড়বে। এই বৈঠকে আরো সিদ্ধান্ত হয় যে থাই শ্রমিকদের এখন থেকে আবার সউদী আরবে কাজ করতে দেয়া হবে। সূত্র : বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ