Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে কাশ্মীরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারত-কাশ্মীর উত্তেজনার ভেতর রহস্যজনকভাবেই পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে কেবা কারা এ জঘন্য কাজ করছে তা ধরা যাচ্ছে না। গত শনি ও রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়েছে। গত শনিবার রাতে আগুন লাগানো হয় অনন্তনাগ জেলার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে। গত রবিবার সকালে আগুন লাগে অনন্তনাগের কাবা মার্গে গভর্নমেন্ট হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল। স্কুলে আগুন নেভাতে পৌঁছেছিল দমকল। ছুটে গিয়েছিলেন স্থানীয় মানুষও। তবে বাঁচানো যায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। বইপত্র, খাতা-কলম, নথিপত্র সবকিছু জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ নিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরে স্কুলে আগুন লাগার ঘটনার সংখ্যা দাঁড়াল ২৫। এসব ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, এটা সম্পূর্ণভাবেই পাকিস্তানের চক্রান্ত। একটা প্রজন্মকে শিক্ষাঙ্গনের বাইরে রেখে দিতে পারলে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা কঠিন। কিন্তু হাতে বন্দুক তুলে দেয়া যেতে পারে সহজেই। সেই ষড়যন্ত্রই চলছে কাশ্মীর উপত্যকায়। রাতেই হামলাগুলো চালানো হচ্ছে। বাদ পড়ছে না বেসরকারি স্কুলও। জুলাইয়ের শুরুতে হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই ১১২ দিন ধরে বন্ধ উপত্যকার সমস্ত স্কুল-কলেজ। গত মাসে স্কুল খোলার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নইম আখতার। হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানিকে খোলা চিঠি লিখে শিক্ষাকে অশান্তির বাইরে রাখতে অনুরোধ করেন।
লস্করের মুখপাত্র আবদুল্লা গজনভি শিক্ষামন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে বলেন, কাশ্মীরের মানুষ যথেষ্ট শিক্ষিত হয়ে গিয়েছে। কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ, তারা খুব ভালোই জানেন। এভাবে জোর করে উপত্যকায় স্কুল খুলতে চাইলে তার ফল ভুগতে হবে মন্ত্রীকে। এরপরে ঘটে চলেছে একের পর এক স্কুল পোড়ানোর ঘটনা। তবে শীর্ষস্থানীয় হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি স্কুল পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, শিক্ষাঙ্গনে আগুন জ্বালিয়েছে যারা, তারা কাশ্মীরের শত্রু। কাশ্মীরে প্রায় চার মাস ধরে স্কুল বন্ধ। অর্ধেকেরও বেশি সিলেবাস শেষ হয়নি। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ১০ম ও ১৪ তারিখ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। এর মধ্যেই শ্রীনগর, অনন্তনাগ, বান্দিপোরা, বদগাম, বারামুলা, কুলগাম, সোপিয়ান, পুলওয়ামা, অনন্তনাগের স্কুলগুলোতে একের পর এক আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। সূত্র : আনন্দবাজার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে কাশ্মীরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ