পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পায়রা সমুদ্র বন্দরের জন্য ১৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি টাগ বোট তৈরি করবে খুলনা শিপইয়ার্ড। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে সম্প্রতি পায়রা বন্দরের সাথে খুলনা শিপইয়ার্ডের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১৮ মাসের মধ্যে খুলনা শিপইয়ার্ড এ দুটি নৌযান নির্মাণ শেষে পায়রা বন্দরের কাছে হস্তান্তর করবে।
৭০ টন বোলার্ড পুল ক্ষমতার এ নৌযান দুটি নির্মাণে নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনা শিপইয়ার্ডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম শামসুল আজিজ ও পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ দুটি টানা জাহাজ পায়রা বন্দরের বহরে যুক্ত হলে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দরটির সক্ষমতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে। প্রায় ৩৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ মিটার প্রস্থ নৌযান দুটি এককভাবে ১টি সমুদ্রগামী পণ্যবাহী বাণিজ্যিক নৌযানকে বন্দরে আনা নেয়াসহ যেকোন দুর্যোগেও নির্ভরতার সাথে কাজ করবে বলে জানা গেছে। ২৮০ টন ওজনের এসব টাগ জাহাজে দুটি করে শক্তিশালী মূল ইঞ্জিন ছাড়াও ৩টি করে জেনারেটর থাকবে। পাঁচ মিটার ড্রাফটের এসব টাগে সব ধরনের অত্যাধুনিক নৌপরিচালন সরঞ্জাম সংযোজন করা হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দর নৌবাণিজ্যে নতুন মাইলফলক রচনা করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে নৌবন্দরটি নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। এ সমুদ্র বন্দরকে ঘিরে সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়নসহ আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাও প্রসার ঘটছে বলে জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, খুলনা শিপইয়ার্ড ইতোপূর্বে পায়রা বন্দর ছাড়াও মোংলা বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের জন্যও একাধিক নৌযান নির্মাণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি নৌবাহিনীর জন্যও ইতোমধ্যে ছোট ও মাঝারি মাপের একাধিক যুুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করে দক্ষিণ এশিয়ার নৌনির্মাণ শিল্পে বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। করোনা মহামারী সঙ্কটে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও প্রতিষ্ঠানটি গত দুটি অর্থ বছরেও মুনাফার ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম শামসুল আজিজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।