পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংক্রমনের উর্ধ্বগতির ফলে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ করে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ডিগ্রিতে চলমান পরীক্ষা হঠাৎ করেই স্থগিতের ঘোষণা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ। চলমান পরীক্ষা হঠাৎ বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এসব কলেজের ডিগ্রির শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তারা জানতে পারেন পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। গতকালই তাদের শেষ পরীক্ষা ছিল।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা ২০২২ সালে শেষ হচ্ছে। গত ২১ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হয়ে গতকাল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে।
অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী কাওসার বলেন, আমরা এমনিতেই ভয়াবহ সেশনজটে আছি। আজ শেষ পরীক্ষা থাকলেও কেন্দ্রে এসে জানতে পারি পরীক্ষা স্থগিত। আমাদের সঙ্গে এমন প্রহসন কেন? আজকের পরীক্ষা নিলে কী হতো?
মহসিন হক নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ডিগ্রি শেষ করতে পারছি না। সেই ২০১৮ সালে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কোভিড বাস্তবতায় হয়নি। দীর্ঘ সময় পরে গত ২১ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হয়ে আজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। কোনো নোটিশ ছাড়াই এভাবে পরীক্ষা স্থগিত করার প্রতিবাদ জানাই। এভাবে আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোনো মানে হয় না।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিনা নোটিশে হঠাৎ করেই চলমান ডিগ্রি পরীক্ষা স্থগিত করার প্রতিবাদেই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন। তারা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকেই জানতে পারে পরীক্ষা স্থগিত। অথচ এদিনই তাদের শেষ পরীক্ষা ছিল। সাত কলেজের ডিগ্রির এসব শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ইডেন কলেজে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
প্রায় আধঘণ্টা নীলক্ষেত মোড় অবরোধের পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন ইডেন মহিলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খায়রুল বাসারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক। শিক্ষকরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অসমাপ্ত পরীক্ষাটি দ্রুত নেয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেন এবং আবরোধ তুলে নিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।