গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
পঁচাত্তরের পর পদ্মা সেতু বাংলাদেশকে অহংকার ও মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর কমলাপুরে ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আয়োজিত শ্রমিক ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রতিমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতুর কানেক্টিং পয়েন্ট কমলাপুর ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) সংযুক্ত হলেও আইসিডি পরিচালনায় সমস্যা হবে না। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আইসিডি অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হলেও শ্রমিকদের কাজের কোনো সমস্যা হবে না। আমরা আরও আইসিডি প্রতিষ্ঠা করব। সে সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু একটি আত্মমর্যাদার নাম, একটি সাহসের নাম, বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার নাম। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ অহংকারের বিজয় অর্জন করেছে। সে বিজয় এবং অহংকার অন্ধকারে হারিয়ে যায় স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশ বিবর্ণ হয়ে যায়। সারা বিশ্বে পরিচয় পায় ক্ষুধা, দারিদ্র ও বন্যাকবলিত বাংলাদেশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে দারিদ্রতা বিক্রি করে বিভিন্ন জন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, নোবেল পুরস্কার পেয়েছে অথচ বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। দারিদ্র বিমোচন হয়নি। ৭৫-এর পর পদ্মা সেতু আমাদেরকে অহংকার ও মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছেন। ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী চক্রান্ত করছে। ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবিহার পাঠিয়েও বাংলাদেশের বিজয় আটকাতে পারেনি। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি মার্কিন-ব্রিটিশ বেনিয়াদের সহ্য হচ্ছে না। তারা টেনে ধরার ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
খালিদ বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছি। অপপ্রচার চালিয়ে অগ্রগতি থামানো যাবে না। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে কিন্তু সংকট নেই। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের ২৪তম দেশ হবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রায়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, আইসিডির ম্যানেজার আহমাদুল করিম এবং আইসিডির শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তুষার খান বাবুল। অনুষ্ঠানে ২৭০ জনকে কম্বল দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।