চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকালে জানাজা শেষে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হাফেজ্জী হুজুরের স্নেহভাজন এই আলেমের লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে সাড়ে ১০টায় নেত্রকোনা পৌর এলাকার মালনী জামিয়া হুসাইনিয়া মাদরাসার পাশে খোলা ময়দানে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঈমামতী করেন মরহুমের একমাত্র ছেলে মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ খান জাফরি।
জানাজায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েক পরিষদের নেতা খলিলুর রহমান মাদানী, খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিশিষ্ট বুজুর্গ মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, নেত্রকোনা জামিয়া মিফতাহুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম আবুল কাশেম, আলীয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর বাতেন, পূর্ব মালনী জামিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, জেলা খেলাফত আন্দোলনের যুবনেতা আব্দুর রহিমসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ওলামা কেরাম, ছাত্র-শিক্ষক ও বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ ও শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি স্বঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
জানাজা শেষে তার প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা মদিনাবাগ প্রাঙ্গণে পারিবারিক কবরস্থানে পিতার পাশে তাকে দাফন করা হয়।
গত শুক্রবার জুমা’র নামাজের আগে মাওলানা মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান (৭৫) মারা যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া মাদরাসায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করার সময় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।