মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের টাটা গ্রূপ বলতেই বর্তমানে যে ব্যক্তির কথা মাথায় আসে তিনি হলেন রতন টাটা। বিশ্বের অন্যতম শিল্পপতিদের মধ্যে তিনি একজন। বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে রতন টাটা প্রায়ই থাকেন খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি রতন টাটার জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার ২৮ বছর বয়সী সঙ্গী শান্তনু নাইডুর সাথে অনাড়ম্বর ভাবে কেক কাটার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে সকলেই তাকে শুভকামনা জানান এবং তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন। তবে, রতন টাটাকে সকলে চিনলেও তার ছোট ভাই জিমি টাটাকে চিনতে পারেনি অনেকেই!
টাটা কোম্পানির অন্যতম শেয়ারহোল্ডার জিমি সবসময়ই থাকেন প্রচারের আড়ালে। ভারতের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকার পরও তার অনাড়ম্বর জীবনযাপন চমকে দিয়েছে সকলকেই! জিমি টাটা মুম্বাইয়ের কোলাবায় দুই রুমের একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকেন। তিনি নিজেকে সংবাদমাধ্যম থেকে অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছেন। সম্প্রতি শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা টুইট করে রতন টাটার ভাই জিমি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সামনে আনেন।
টুইটের মাধ্যমে হর্ষ জানান যে, “আপনি কি রতন টাটার ছোট ভাই জিমি টাটা সম্পর্কে জানেন? যিনি মুম্বাইয়ের কোলাবায় একটি দুটি বেডরুমের ফ্ল্যাটে বর্তমান জীবন কাটাচ্ছেন। তিনি ব্যবসায় আগ্রহী নন। ”
উল্লেখ্য, জিমি টাটা হলেন রতন টাটার ছোট ভাই আর নোয়েল টাটা তার সৎ ভাই। নব্বইয়ের দশকে অবসর নেওয়ার আগে, জিমি টাটা, টাটা গ্রুপের বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে কাজ করেছিলেন। পাশাপাশি, তাকে টাটা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার এবং স্যার রতন টাটা ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তথ্য অনুযায়ী, জিমি নিজের কাছে মোবাইলও রাখেন না। কিন্তু যে মানুষের কাছে নিজের কোনও মোবাইল ফোন নেই-- তিনি বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগায্যগ রাখেন ক্য ভাবে? উত্তর হল খবরের কাগজ। একমাত্র খবরের কাগজের মাধ্যমেই বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তিনি। রতনের মত জিমিও বিবাহ করেননি।
আরো জানা গেছে, খেলাধুলোতে প্রচন্ড আগ্রহ রয়েছে জিমি টাটার। হর্ষ গোয়েঙ্কা টুইটে লিখেছেন, “দুর্দান্ত স্কোয়াশ প্লেয়ার তিনি। আমাকে প্রতিবার হারিয়ে দিতেন।”
টাটা গোষ্ঠীর লো প্রোফাইল পথ চলার ভাবনার কথা সকলেরই জানা। টাটা পরিবারের অন্দর থেকেই এর সূত্রপাত। তবে কি এই কারণেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েও একজন অতি সাধারণ মধ্যবিত্তের জীবনযাপনকে বেছে নিয়েছেন জিমি টাটা। হয়তো নিজের জীবনটা মাটির কাছাকাছি রাখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন জিমি টাটা।
বলা যায় এই ৮১ বছর বয়সে এসে জিমি টাটা একেবারে হইচই ফেলে দিয়েছেন। টাটা গ্রূপের অন্যতম দাবিদার হওয়া সত্বেও জিমির এমন অনাড়ম্বর জীবন দেখে মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা। পাশাপাশি, হর্ষ গোয়েঙ্কাকে টুইটের মাধ্যমে জিমি টাটার ব্যাপারে জানানোর জন্য ধন্যবাদও জানান তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।