Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুর্নীতি রোধে দুদক ডিসিদের সহযোগিতা চায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

দুর্নীতিরোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের শেষ দিনে আলোচনাকালে এ সযোগিতা চান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ার‌্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ। তিনি দুর্নীতি রোধকল্পে এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহŸান জানান।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের অন্যতম একটি কাজ হলো সচেতনতা বৃদ্ধি। দুর্নীতি নেন না হয়। দুর্নীতি থেকে যেন মানুষ দুরে থাকে এটাও কিন্তু দুদকের অন্যতম কাজ। এজন্য আমরা ডিসিদের অনুরোধ জানিয়েছি, তারা আমাদের সব সময় সাহায্য করে আরো যেন সাহায্য করেন।

একজন জেলা প্রশাসক জানেন তার অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে, কোন অফিসে দুর্নীতির কি সুযোগ রয়েছে। ওই জায়গায় তারা যেন সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করেন।
মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ আরও বলেন, আমাদের আরেকটি কাজ হলো গণশুনানি। আপনারা জানেন, যে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে দুর্নীতির ধরণও পরিবর্তন হয়ে যায়। কোথাও যদি গণশুনানি করা হয় তাহলে দুর্নীতির নতুন ধরণগুলোও জানা যায়। করোনার কারণে এটি এখন সীমিত রয়েছে। আমরা ডিসিদের বলেছি তারাও যেন গণশুননি করেন। আমরাও করবো। কোথায় নতুনরূপে দুর্নীতি হয় এবং কিভাবে তা বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে তারা যেন সহযোগিতা করেন।

দুর্নীতির তদন্তের সময় কমিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আমাদের একটি সমস্যা হলো তদন্ত বা অনুসন্ধানে একটু সময় লেগে যায়। এটির কারণে হয়তো অনেকে অভিযোগ থাকলেও সমস্যা হয়। এটা আমাদের একটি সীমাবদ্ধতা। এটা আমরা অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেন আমাদের তদন্তগুলো শেষ হয় আমর চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, দুর্নীতি এমন একটি জিনিস, প্রমাণ পাওয়াটা খুব কঠিন। অকাট্য প্রমান ছাড়া তো আমরা এগুতে পারি না। কারণ এটি না হলে আদালত মামলা গ্রহন করবে না। যিনি ঘুষ নেন ও যিনি দেন তারা কেউই তো স্বীকার করে না। এটি কমিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের যারা অনুসন্ধান করে তাদেরকেও আমরা জবাবদিহিতার আওতায় আনার চেষ্টা করছি।

দুদকের আইনজীবীরা মামলার শুনানীতে উপস্থিত থাকেন নাÑ এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা জেলার যারা বিজ্ঞ আইনজীবী আছেন তাদেরকেই নিয়োগ করার চেষ্টা করি। দুদক আইনে আছে আমাদের একটি প্যানেল থাকবে। এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বা এসিস্ট্যান্ড ডিরেক্টরের বেতনে তো কোনো আইনজীবী আসতে রাজী হবেন না। তারা যদি স্বাধীনভাবে আইন পেশায় থাকে তাদের আয় অনেক বেশি থাকে। আমার এখানে যদি নিয়ে আসি তাহলে ৫ম গ্রেডের বেতন যদি দেই সে টাকায় ভালো আইনজীবী আসবে না। আইনজীবী নিয়োগের জন্য যারা প্রতিষ্ঠিত তাদেরই আমরা নিয়োগের চেষ্টা করি। মামলার সময় উপস্থিত থাকে না এমন ঘটনা অনেক কম।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতি

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ