পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাপরবর্তীকালে দেশের অর্থনীতি সচল হওয়ার পরেই মূলধনি যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, সার, ওষুধ, দুধ, কাগজ বোর্ড প্রভৃতি পণ্যের আমদানি খাতে ব্যয় বেড়েছে। অক্টোবর-নভেম্বর সময়ে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে পণ্য আমদানিতে বাড়তি খরচ হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি করতে মোট ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৯৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার, যা অক্টোবর মাসে ছিল ১ হাজার ৫২৭ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ইউএস ডলার। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ব্যয় বেড়েছে ৩৬৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ মিলিয়ন ডলার বা ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মহামারির পরে অর্থনীতি সচল হতে থাকে। কারখানায় শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি বেড়ে যায়। আর শিল্পের যন্ত্রপাতির আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নভেম্বর মাসে আমদানি ব্যয় হয় ১ হাজার ২৪৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার, যা এর আগের মাসে ছিল ১ হাজার ১১৮ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। দেখা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে ব্যয় বেড়েছে ১২৬ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলার বা ১০ দশমিক ১৭ শতাংশ।
আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সহসভাপতি শহীদউল্লাহ আজিম বলেন, করোনার পরে আমাদের অর্থনীতি দ্রæত সময়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। শিল্পকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুরোদমে চালু হয়েছে। আমাদের পোশাক খাতে কার্যাদেশ বেড়েছে। এতে বিভিন্ন কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি বেড়ে গেছে। বেড়েছে অন্যান্য পণ্যের আমদানিও। এমনকি আমাদের নতুন করে এলসি খোলার হার বেড়েছে। আর আমদানি ও রপ্তানি দুটোই বেড়ে যাওয়ায় বাজারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে না।
এদিকে গত নভেম্বর মাসে সার আমদানিজনিত আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৬১৯ দশমিক ৮০ মিলিয়ন ইউএস ডলার, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৩১৭ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার। এক মাসের ব্যবধানে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৩০২ দশমিক শূন্য ৬ মিলিয়ন ডলার বা ৪৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর করোনার পরে ড্রাগ ও ওষুধের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নভেম্বরে আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার, যা অক্টোবরে ছিল ২৩ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার।
এক মাসে বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন ডলার বা ৬০ দশমিক ৩১ শতাংশ। দেশের অন্যতম ভোগ্যপণ্য চিনি আমদানিতে নভেম্বরে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৭৫ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার, যা অক্টোবরে ছিল ১১৮ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার। এক মাসে ব্যয় বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ইউএস ডলার বা ৩২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। নভেম্বরে কাগজ ও বোর্ড আমদানিসংক্রান্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৬৯ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। তার আগের মাসে ছিল ৬১ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার। এক মাসের ব্যবধানে ব্যয় বেড়েছে ৮ দশমিক শূন্য ১ মিলিয়ন ডলার বা ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।