Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভিযোগ অস্বীকারের একদিন পরেই একটি দাবী মেনে নিল বিসিসি

সাত কাউন্সিলরের আইনী নোটিশের জবাব

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২২, ১:০৯ পিএম

সাত কাউন্সিলরের আইনী নোটিসে ৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে একদিন পরেই তাদের একটি অভিযোগ সমাধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নোটিশ দাতাগন। বরিশাল সিটি করপোরেশন গৃহকর বৃৃদ্ধি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওএসডি করে রাখা, হাট-বাজার ইজারা না দেয়া সহ সম্মানি কম দেয়া সহ ছয়টি অভিযোগ তুলে মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিবকে গত ৩ জানুয়ারী আইনী নোটিশ দিয়েছিলেন ৭ উন্সিলর। এ জবাবে অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন বিসিসি কর্তৃপক্ষ।
আইনী নোটিশদাতা সাতজন সহ আওয়ামী লীগ দলীয় মোট ১০ কাউন্সিলর বঞ্চনার অভিযোগ এনে গত আগষ্ট থেকে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক হোসেনের পক্ষে আইনী নোটিশের জবাব দিয়েছেন অ্যাডভোকেট জগদীশ চন্দ্র সরকার। কাউন্সিলরদের পক্ষে আইনী নোটিশদাতা অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান নোটিশের জবাব গ্রহন করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে।
বিসিসির দেয়া জবাবের প্রেক্ষিতে আইনী নোটিশ দাতা কাউন্সিলরদের অন্যতম ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, বিসিসি আইনী নোটিশ জবাব দিয়ে আরেকটি আত্মঘাতি ভুল করেছে। তাদের প্রধান অভিযোগ ছিল, অন্য কাউন্সিলরদের ৫০ হাজার টাকা করে সম্মানি দেয়া হলেও সাত কাউন্সিলরকে দেওয়া হতো সাড়ে ৪৩ হাজার টাকা।
কাউন্সিলর আনিছ শরীফ বলেন, বিবিসি’র জবাবে বলা হয়েছে কাউন্সিলরদের সম্মানি সাড়ে ৪৩ হাজার টাকা। তবে মাসিক সভায় অংশগ্রহনাকারীরা যাতায়াত ভাতা বাবদ আরও সাড়ে ৬ হাজার টাকা পাচ্ছেন। নোটিশদাতা কাউন্সিলররা সভায় আসেন না, তাই যাতায়াত ভাতার বিল পাচ্ছেন না। এ জবাব দেয়ার একদিন পরই বুধবার সাত কাউন্সিলরের হিসাব নম্বরে ডিসেম্বর মাসের সম্মাানি ৫০ হাজার টাকা করে জমা হয়েছে বলে জানান আনিছ শরীফ। তিনি উল্টো প্রশ্ন তোলেন, তারা যাতায়াত ভাতার ভাউচার দেননি, তারপরও কিভাবে ডিসেম্বরের সম্মাানি ৫০ হাজার টাকা পেলেন ?
আইনী নোটিশে আরও অভিযোগগুলো হচ্ছে, গৃহকর ১ হাজার গুন বৃদ্ধি, নগর ভবন পরিচালনায় সরকারী আদেশ-নির্দেশ উপেক্ষা করা, পরিষদের প্রথম সভায় কাউন্সিলদের নগর ভবনে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা, অযৌক্তিক অভিযোগ তুলে বিপুল সংখ্যক স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ওএসডি করে রেখে অস্থায়ী কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ন পদে পদায়ন, কোন দরপত্র আহ্বান ছাড়াই ব্যক্তি বিশেষকে নগরীর হাট-বাজার ইজারা প্রদান।
বিসিসির জবাবে ‘অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির প্রমানের ভিত্তিতেই ওএসডি করার কথা বলে নগর ভবনের কাজ স্বাভাবিক রাখতে চুক্তিভিত্তিক জনবল নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া নগর ভবনে সরকারী আইন-কানুনের বিষয়গুলো দেখতে কয়েকজন ক্যাডার কর্মকর্তা প্রেষণে নিযুক্ত আছেন। অন্যান্য অভিযোগুলো পুরোপুরি মিথ্যা ভিত্তিহীন’ বলে জানান হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিসিসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ