নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ৮ মাস আগে যে ভেন্যু থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মোস্ট ভেল্যুয়েবল প্লেয়ারের পুরস্কার নিয়েছেন, সেই ভেন্যুতেই অভিষেক টেস্ট সিরিজে সিরিজ সেরার পুরস্কার পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ! পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ঢাকা টেস্ট জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও ফিরে গেলেন কৈশরেÑতুললেন মাঠকর্মীদের সঙ্গে সেলফি। মাত্র আট মাসেই যুব ক্রিকেট তারকা থেকে আন্তর্জাতিক তারকা! পাঁচ দিন আগে ১৯তম জন্মদিন পালন করা এই ছেলেটির সাফল্যেই সাফল্য গাঁথা অধ্যায় রচিত হলো বাংলাদেশের! চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডকে ৩শ’র নিচে বেঁধে ফেলার নায়ক এই অফ স্পিনার। অভিষেকেই দিয়েছেন ভয়ঙ্কর ছোবল ইংল্যান্ডকে (৬/৮০)।
ঢাকা টেস্টের পর পর ২ দিনেই নায়ক তিনি। দু’ইনিংসেই প্রথম ব্রেক থ্রু দিয়েছেন, নুতন বলে স্পিন কারিশমা দেখেছে বিশ্ব দ্বিতীয় দিনে। দ্বিতীয় দিন ইংল্যান্ডকে ২৪৪ রানে অল আউটের এই নায়ক ক্যারিয়ারের প্রথম ২ টেস্টে ইনিংসে ৬টি করে উইকেটে (চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬/৮০,ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬/৮২) অন্য উচ্চতায় তুলেছেন নিজেকে। এমন ম্যাজিক বোলিংয়ে টেস্ট ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে প্রথম দু’ম্যাচের সাফল্যে অন্য উচ্চতায় মিরপুরে। টেস্টে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১২ উইকেট এতোদিন ছিল শুধুই বাঁ হাতি স্পিনার এনামুল জুনিয়রের, ২০০৫ সালে জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে (২০০/১২)। উপর্যুপরি তিন ইনিংসে নামতা গুণে ৬টি করে শিকার, ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১৮ উইকেটের রেকর্ডটিও এতোদিন ছিল তার। এনামুল জুনিয়রের সেই রেকর্ড টপকে নুতন ইতিহাস রচনা করেছেন মিরাজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। ঢাকা টেস্টে ১২ উইকেট (১২/১৫৯), ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বাধিক ১৯ উইকেট শিকার তার। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ২ ম্যাচে ৩ ইনিংসে ৫টি করে উইকেট আছে ১৩৯ বছরের টেস্ট ইতিহাসে মাত্র ৬ জনের! ১৮৯৩-৯৪ এ ইংল্যান্ডের পেস বোলার টম রিচার্ডসন, ১৯০১ সালে ইংল্যান্ডের সিডনী বার্নস, ১৯২৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার ক্লারি গ্রিমেত, ১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার রডনী হগ, ১৯৮৮ সালে ভারতের লেগ স্পিনার নরেন্দ্র হিরওয়ানির পর ২০১৬ সালে এমন অবিশ্বাস্য কৃতিত্ব মেহেদী হাসান মিরাজের। তবে এই ৬ জনের মধ্যে সেরা’র আসনে হিরওয়ানির পর মিরাজ। ১৯৮৮ সালে টেস্ট অভিষেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চেনাইয়ে ১৬ উইকেটে (৮/৬১ ও ৮/৭৫), বেঙ্গালুরুতে পরের টেস্টে সেখানে (২/৬২ও ৬/৫৯)। ক্যারিয়ারের প্রথম ২ টেস্টে হিরওয়ানির শিকার সংখ্যার সমষ্টি ২৪ উইকেট, সেখানে মেহেদীর রঙ ছড়ানো মিরাজের প্রথম ২ টেস্টে শিকার সংখ্যা ১৯টি! এক টেস্টে সর্বকনিষ্ঠ সফল বোলার হিসেবে এখনো সবার উপরে বাংলাদেশের বাঁ হাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে ২০০৫ সালে ঢাকা টেস্টে ১২ উইকেটের ম্যাচের দিন বয়স ছিল তার ১৮ বছর ৪০ দিন। সবচেয়ে কম বয়সে ২ ইনিংসে ৫টি করে শিকারের তালিকায় পাকিস্তানের ওয়াসিম আক্রাম, ভারতের শিবারামাকৃঞ্চাম এবং পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনুসের পর ১৯ বছর ৫ দিন বয়সে রেকর্ডটি মেহেদী হাসান মিরাজের। তবে প্রথম ২ টেস্টে তিন ইনিংসে ৫টি করে শিকারে ১৯ উইকেটে সর্বকনিষ্ঠ বোলার তিনিই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।