বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘুষ-দুর্নীতির সংবাদ প্রচার করায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী সরকারের দায়ের করা মানহানির দুই মামলায় পাঁচজনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী) আদালতের বিচারক এফ, এম আহসানুল হক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন প্রাপ্তরা হলেন যমুনা টিভির গাইবান্ধা প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান মন্ডল পলাশ, কালের কণ্ঠের সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি শেখ মামুন-উর-রশীদ, ভোরের দর্পণের প্রতিনিধি একেএম শামছুল হক, চাঁদনী বাজারের প্রতিনিধি আবু জায়েদ কারী ও মানবাধিকারকর্মী মাহাবুর রহমান খান।
সাংবাদিকদের পক্ষে আদালতে শুনানী করেন অ্যাডভোকেট মো. ফরহাদ হোসেন লিটু। বাদি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শফিকুল ইসলাম। এসময় বাদি নুরুন্নবী সরকার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন জানান, মানহানির দুই মামলায় বিবাদীদের প্রতি সমন জারি করেন আদালত। কিন্তু দীর্ঘদিনেও অনেকের কাছে সেই সমন পৌঁছায়নি। বিবাদীরা পেশায় সাংবাদিক, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এরআগে, ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালী আমলী আদালতে মানহানির পৃথক দুটি মামলা করেন পিআইও নুরুন্নবী সরকার।
মুলত নিজের দুর্নীতি আড়াল করতেই নুরুন্নবী সরকার মিথ্যা মানহানির মামলা করেন। মামলায় বিবাদী করা হয় যমুনা টিভি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক, বার্তা সম্পাদকসহ গাইবান্ধা জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ১২ জনের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে ৭ জনকে অব্যহতি ও ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআই। পরে আদালত ৫ সাংবাদিকের নামে সমন জারি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।