মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাতাসের গতিতে নয়, তার থেকেও বহু গুণ বেশি জোরে ছুটতে পারত। চিরাচরিত বিমানের মতো দেখতে নয় বরং অনেকটা বুলেটের আকারে তৈরি এ যান আসলে একটি রকেট। যার সঙ্গে লাগানো ছিল ককপিট। আর তাতে বসেই চালক উড়িয়ে নিয়ে যেতেন ‘নর্থ আমেরিকান এক্স-১৫।’ দক্ষ পাইলটের হাতে পড়লে প্রায় সাত গুণ গতিতে ছুটতে পারতো বিমানটি। নর্থ আমেরিকান এক্স-১৫ বিমানটি আসলে রকেটচালিত সুপারসনিক বিমান। এক্স-প্লেন সিরিজের অংশ হিসেবে এটিকে যৌথভাবে তৈরি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী এবং নাসা। আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে প্রথম আকাশে উড়েছিল ‘নর্থ আমেরিকান এক্স-১৫।’ এখন পর্যন্ত মানবচালিত বিমানের মধ্যে এই সুপারসনিক বিমানটি সবচেয়ে দ্রæতগতিতে ছুটতে পারতো বলে জানা যায়। ১৯৫৯ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে এই সুপারসনিক। এরপর ৯ বছরে ১৯৯টি ফ্লাইট টেস্ট করা হয় বিমানটির। বিমানটিকে সঠিকভাবে চালানোর জন্য ১২ সদস্যের দক্ষ একটি দল গঠন করা হয়। যাদের মধ্যে চাঁদে পা রাখা প্রথম মানব নীল আর্মস্ট্রংও ছিলেন। বিমানটির চালক বিল ডানা বলেন, ‘এটাই হল ‘আসল’ বিমান যা ওড়ে।’ নাসা-র আর্মস্ট্রং রিসার্চ ফ্লাইট সেন্টারের প্রধান ইতিহাসবিদ ক্রিস্টিয়ান গেলজার বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি গতি, সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা এবং সবচেয়ে বেশি ভয় এই তিনটি অনুভ‚তি একসঙ্গে হতো বিমানটি উড়ানোর সময়।’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে পরীক্ষা মূলকভাবে ৬০টি বিমান তৈরি করে মার্কিন বিমান বাহিনীও নাসা। ১৯৫২ সাল থেকে এর উৎপাদন শুরুর সময় এক্স-১৫ সুপারসনিকের গতি ছিল ঘণ্টায় ৭০০ মাইল। গতি ছিল শব্দের চেয়েও পাঁচ গুণ বেশি। গেলজার বলেন, ‘গতির লক্ষ্যে পৌঁছতে ঝুঁকিও কম ছিল না। এ ধরনের বিমানকে সাধারণ বিমানের তুলনায় আরও উঁচুতে উড়াতে হতো। ভ‚পৃষ্ঠ থেকে আড়াই লাখ ফুট উঁচুতে ওড়ানোই লক্ষ্য ছিল আমাদের। আর সেটি যে বড়সড় ঝুঁকি নেওয়া, তা বলার চলে।’ তিনি আরো বলেন, ‘রাশিরায় সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ু যুদ্ধের প্রেক্ষাপটেই এই বিমান তৈরির জন্য গবেষণা শুরু হয়।’ জানা গেছে, বিমানের গতির মতোই এর উড়ানোর পদ্ধতিও ছিল ভিন্ন। অন্য বিমানের মতো এটি রানওয়েতে দৌঁড়ে আকাশে উড়ত না। বরং এটিকে বি-৫২ বোম্বার বিমানের সহায়তায় আকাশে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হতো। গেলজার বলেন, ‘দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার এডওয়ার্ড বিমান ঘাঁটি থেকে নেভাদা বা ইউটা-র দিকে ঘণ্টায় ৬০০ মাইলেরও বেশি গতিবেগে উড়ে যেত বি-৫২ বোম্বার বিমান। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।