মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সাগরভাসা অভিবাসীদের আশ্রয় দেবে না অস্ট্রেলিয়া। নৌপথে যাওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের দেশটিতে প্রবেশে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। সরকারের তরফে বলা হয়, এসব আশ্রয়প্রার্থীদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে পাপুয়া নিউগিনিতে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল গতকাল রোববার এ ঘোষণা দেন। এর সাথে নৌপথে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে না পর্যটক এবং ব্যবসায়ীরাও। এ ব্যাপারে চলতি সপ্তাহে একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হবে। দ্রুতই নৌপথে আসা অভিবাসীদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে, অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয়প্রার্থীদের পাপুয়া নিউগিনিতে পাঠিয়ে দেওয়া নিয়ে দুই দেশ একটি চুক্তি সই করে রেখেছে। কয়েক মাস ধরে নৌকায় করে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষত ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও শ্রীলংকা থেকে আশ্রয়প্রার্থীরা ব্যাপকভাবে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছিল । অভিবাসীদের এই ¯্রােত ঠেকানোর জন্য দেশটির সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণকরে বলে বলা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেন, ‘অনেক মানবপাচারকারী রয়েছে। তাদের খপ্পরে পড়ে বহু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসার চেষ্টা করে। অনেকে পথে ডুবে মারা যায়।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ জন্য অস্ট্রেলিয়ার সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে থেকে নৌযানে এসে কেউ আর নিজেদের শরণার্থী দাবি করে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসী হওয়ার সুযোগ পাবে না।’ উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে ১৩৪টি নৌকায় চড়ে ছয় হাজার ৫৩৫ জন আরোহী দেশটিতে যায়। ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল চার হাজার ৫৬৫ জন এবং ২০১২ সালে ১৭ হাজার ২০২ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২১৮টি নৌকায় চড়ে অন্তত ১৫ হাজার ১৮২ জন শরণার্থী অস্ট্রেলিয়ায় যান। চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন দেশ থেকে নৌকায় করে আসা মানুষদের পাপুয়া নিউগিনিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরে খতিয়ে দেখা হবে তারা শরণার্থী হিসেবে অবস্থানের মর্যাদা পাবে কিনা। অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী বলেছে নিষেধাজ্ঞা জারির দিন থেকেই নতুন এ নিয়ম কার্যকর হবে। নৌকায় চড়ে আসা মানুষকে আর কখনো অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।’ সম্প্রতি নৌকায় অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমানো মানুষের মধ্যে ইরাক, ইরান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের নাগরিকের সংখ্যাই বেশি। এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।