গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষক এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় নিন্দা ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত ঢাবি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তারা এ দাবি জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন দলটির আহ্বায়ক প্রফেসর মো.লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, এমন একজন মানুষের জন্য আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি যিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সারাজীবন অবদান রেখে গেছেন। আমরা তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করায় তীব্র নিন্দা জানাই। এটি এক ধরনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কারণ তিনি লেখালেখি ছাড়া রাজনৈতিক কাজে তেমন একটা অংশ নিতেন না যাতে করে তাকে যে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে এমনটা না হয়। কিন্তু তাই হলো আজ তার সাথে। তার একটাই দোষ, আর তা হলো তিনি জাতীয়তাবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী। আমরা মনে করি এই প্রতিহিংসার ফলাফল কখনো ভালো হবে না। কারণ শহীদ জিয়াকে আপনারা যেভাবে চেপে ধরেছেন, তার পদক বাতিল করছেন, তাকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা করছেন এসব করে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে শহীদ জিয়াকে মুছে ফেলা যাবে না। শহিদ জিয়াকে নিশ্চিহ্ন করে দিবেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয়তাবাদী পরিবারের ছেলেরা উঠে দাঁড়াবে।
এসময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড.মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, মামুন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আকতার হোসেন খান, রোকেয়া হলের সাবেক প্রভোস্ট ও প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. লাইলা নুর ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড.এএসএম আমানউল্লাহ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ড. তাজমেরী ইসলাম শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খ্যাতিমান ও সফল শিক্ষকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিক্ষক নেতা। তিনি একজন রসায়নবিদ হিসেবে কেবল দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিম-লেও সমানভাবে সমাদৃত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান অনুষদের একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত ডিন, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও সাফল্যের সাথে দায়িত্বপালন করেছেন। এমন একজন কৃতি শিক্ষাবিদকে একটা মিথ্যা গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করে জালিম সরকার তার কারাগারে নিক্ষেপ করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।