নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে দ্রুত থামিয়ে দিলেন মার্ক উড। ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যটা রইল তিনশর কম, বাকি ছিল প্রায় আড়াই দিন। শুরুটাও ভালোই হয়েছিল। ররি বার্নস আর জ্যাক ক্রলির উদ্বোধনী জুটিতে এসেছিল ৬৮ রান। হোবার্ট টেস্টে জিততে হলে আড়াই দিনে ২৭১ রানের লক্ষ্যে এমন শুরুই দরকার ছিল। মনে হচ্ছিল, এবারের অ্যাশেজে অন্তত একটি টেস্টে জয়ের পথে হাঁটছে ইংল্যান্ড। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি ভাঙতেই শেষ ইংলিশরা। নির্দিষ্ট করে বললে চা বিরতির পর। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে ৯ উইকেট হারিয়ে হোবার্ট টেস্ট ১৪৬ রানে হেরেছে জো রুটের দল। দিন-রাতের টেস্টে ২৭১ রানের লক্ষ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে তারা গুটিয়ে দিল কেবল ১২৪ রানে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করল অস্ট্রেলিয়া।
দিনের শুরুটা অবশ্য ইংলিশদের জন্য ছিল স্বস্তির। ৩ উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিন খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়াকে ১৫৫ রানেই গুটিয়ে দেয় তারা। তাদের কোনো ব্যাটসম্যানকেই ছুঁতে দেয়নি পঞ্চাশ। দুর্দান্ত বোলিং উপহার দিয়ে ৩৭ রানে ৬ উইকেট নেন উড। টেস্ট তো বটেই, প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারেই যা তার সেরা বোলিং। আগের সেরা ৪৬ রান দিয়ে ৬টি। স্টুয়ার্ট ব্রডের শিকার তিন উইকেট।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হলেও ইংল্যান্ডের ব্যাটিং মুখ থুবড়ে পড়তে সময় নেয়নি খুব একটা। সিরিজ জুড়ে বাজে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে তারা গুটিয়ে যায় ৩৮.৫ ওভার খেলেই। প্যাট কামিন্স, স্কট বোল্যান্ড, ক্যামেরন গ্রিনের প্রাপ্তি তিনটি করে উইকেট। দ্বিতীয় দিনের মতো দুই দলের মিলিয়ে এদিনও পড়ে ১৭টি উইকেট।
এদিন শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। দিনের চতুর্থ ওভারে নাইটওয়াচম্যান বোল্যান্ডকে কট বিহাইন্ড করে ফেরত পাঠান উড। কয়েক ওভার পর প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ট্রাভিস হেডও এই পেসারের শিকার। তার লেগ সাইডের শর্ট বলে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন হেড দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। নিজের পরের ওভারে উড তুলে নেন সবচেয়ে বড় উইকেটটি। তার শর্ট বল হুক শট খেলে লং লেগে দাভিদ মালানের হাতে সহজ ক্যাচ দেন ২৭ রান করা স্টিভেন স্মিথ।
দ্রুত ৩ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন অ্যালেক্স কেয়ারি ও গ্রিন। তাদের ব্যাটে বাড়তে থাকে অস্ট্রেলিয়ার রান। কিন্তু জুটির রান ফিফটি ছোঁয়ার আগে ২৩ রান করা গ্রিনকে এলবিডব্লিউ করে দেন ব্রড। মিচেল স্টার্ককে ফিরিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন উড। দারুণ ব্যাটিংয়ে কেয়ারি এগিয়ে যাচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। কিন্তু তাকে ৪৯ রান কট বিহাইন্ড করে দেন ব্রড। কামিন্সের স্টাম্প এলোমেলো করে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ করে দেন উড।
এবারের অ্যাশেজ আলাদা করে মনে রাখবে অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে। সিরিজে তিনি ব্যাট হাতে ৩২.৫৭ গড়ে রান করেছেন ২২৮; ১৫.৭৬ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ১৩টি। অতীতে কোনো অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার এত বেশি গড়ে এত রান ও এত কম গড়ে এত বেশি উইকেট নিতে পারেননি।
ওদিকে এই সফর শেষ করে হাঁপ ছেড়েই বাঁচবে ইংল্যান্ড। গোটা সিরিজে নিজেদের পক্ষে খুব বেশি কিছু নিতে পারেনি ইংলিশরা। হোবার্টে বড় হারের পর সেটি স্বীকারও করেছেন অধিনায়ক জো রুট, ‘খুব কঠিন একটা সফর কাটল আমাদের। কিছু অংশে ভালো ক্রিকেট খেলেছি আমরা। কিন্তু সেটি দিয়ে গোটা একটা ম্যাচ নিজেদের করে নেওয়া সম্ভব হয়নি কখনোই। এটা আমাদের জন্য খুব বড় একটা শিক্ষণীয় ব্যাপার।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।