বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার পর স্বজনদের ফোন করে লাশ নিয়ে যেতে বলে পালিয়ে যায় পোশাক শ্রমিক স্বামী আসাদুল ইসলাম। গতকাল শনিবার আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার একটি টিনশেড ভাড়া বাড়ির তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত বৃষ্টি আক্তার কিশোরগঞ্জ জেলার তারাইল থানার বাঁশকাটি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। তার স্বামীর আসাদুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ থানার নারায়ণপুর গ্রামের মো. আব্দুল খালেকের ছেলে। তারা দুজনেই আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার টেক্সটাউন নামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানিম আহমেদ জানান, নিহতের গলায়, পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ বিছানার উপর চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে ওড়না দিয়ে বাধা ও বাইরে থেকে কক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। পুলিশের ধারণা বৃষ্টিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার স্বামী আসাদুল পালিয়েছে গেছে। পালানোর আগে আসাদুল তার শ্যালককে ফোন করে বলেছে, তোর বোনকে মেরে রেখেছি এসে লাশ নিয়ে যা।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক কলহ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত বৃষ্টির আত্মীয় মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকালে গ্রামে থাকা বৃষ্টির খালা আসমা বেগমকেও ফোন করে আসাদুল জানায়, বৃষ্টি অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। আপনার তাকে নিয়ে যান। এই বলে ফোন বন্ধ করে দেয়। পরে আমরা খুঁজতে খুঁজতে তাদের ঠিকানা পাই। এসে জানতে পারি বৃষ্টিকে হত্যা করেছে আসাদুল। তিনি আরো বলেন, বৃষ্টির এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে আসাদুল। আবার আসাদুলের পরকীয়া জানতে পেরে প্রতিবাদ করে বৃষ্টি। এইসব ক্ষোভ থেকে বৃষ্টিকে হত্যা করেছে বলে ধারণা তাদের।
বাড়ির মালিক গুলবাহার বেগম সাংবাদিকদের জানান, দুই মাস আগে আসাদুল ও তার স্ত্রী বৃষ্টি বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছিল। তাদের স্বজনরা খুঁজতে এসে কক্ষ তালাবদ্ধ দেখে দরজার নিচ দিয়ে টর্চলাইট জ্বালিয়ে দেখে বিছানায় চাদর দিয়ে পেঁচানো নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
এসআই তানিম আহমেদ বলেন, পলাতক আসাদুলকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া হত্যার ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।