নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : রকল্যান্ড সামার ওপেন (র্যাংকিং) ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে মহিলা দ্বৈতের মুকুট জিতলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এলিনা খান ও নাবিলা আক্তার। আসরের দ্বৈত ফাইনালে তারা কাওয়াসাকি ক্লাবের শাপলা ও দুলালীকে হারিয়ে সেরার খেতাব জিতে নেন। শুক্রবার টুর্নামেন্টের মহিলা এককের ফাইনালে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন শাপলা সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এলিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতলেও দ্বৈতে আর পারেননি। গতকাল সকালে পল্টন ময়দান সংলগ্ন শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে সামার ওপেনের মহিলা দ্বৈতে কোর্টে নামেন দেশের দুই সেরা নারী শাটলার শাপলা ও এলিনা। শাপলার সঙ্গে জুটি বাঁধেন দুলালী ও এলিনার সঙ্গি হন নাবিলা। খেলায় এলিনা-নাবিলা জুটি অসাধারণ পারফরমেন্স দেখিয়ে ২-০ সেটে শাপলা-দুলালী জুটিকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়।
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে হারলেও সামার ওপেনে মুকুট ধরে রাখতে পেরে দারুণ খুশী এলিনা। তিনি বলেন, ‘এককে ব্যর্থ হলেও দ্বৈতে মুকুট পুনরুদ্ধার করতে পেরে খুব খূশী আমি। ভালো লাগছে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েই তাদেরকে শিরোপা উপহার দিতে পেরেছি বলে। এটাই বড় প্রাপ্তি।’
খুলনার মেয়ে এলিনা খান ২০০৩ সালে জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে নিজ জেলার হয়ে প্রথমবার অংশ নেন। ব্যাডন্টিনে প্রথম অংশগ্রহণেই সবার মন জয় করে। ভালো খেলে জায়গা করে নেন বিমানের ব্যাডমিন্টন দলে। এক বছর পর নাম লেখান নারায়ণগঞ্জের নিট কনসার্নে। এই দলের হয়ে একের পর এক জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ, সামার ওপেনসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে শিরোপা জয় করে নিজের ক্যারিয়ারকে উজ্জ্বল করেন এলিনা। দেশের সেরা নারী শাটলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিতও করেন। ২০০৯ ও ২০১০ সালে সামার ওপেনে একক ও দ্বৈতে শিরোপা জিতে দ্বিমুকুট লাভ করেন তিনি। ২০১০ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও দ্বিমুকুট জেতেন এলিনা খান। ২০১১ সালের ৮ জুলাই আরেক সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এনায়েতুল্লাহ খানকে বিয়ে করে সংসারী হলেও ব্যাডমিন্টন কোর্ট মাতিয়ে বেড়ান আগের মতোই। বিয়ের বছরেও জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের এককে রানার আপ ও দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। মাঝে দু’বছরের বিরতিতে এলিনার কোল জুড়ে আলোচ্ছটা হয়ে আসে কন্যা আরশি। তাকে নিয়ে কিছুদিন ব্যস্ত থাকার পর ২০১৪ সালে কোর্টে ফিরেই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের একক ও দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন এবং মিশ্র দ্বৈতে রানার আপ হয়ে সবাইকে চমকে দেন এলিনা। এবার রকল্যান্ড সামার ওপেনের এককে ব্যর্থ হলেও পায়ে ব্যথা নিয়ে দ্বৈতে ঠিকই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেন সেনাবাহিনীর এই শটলার।
আগের দিন এলিনাকে হারিয়েই মহিলা এককের শিরোপা ঘরে তুলেন কাওয়াসাকী ক্লাবের শাপলা আক্তার। এ বছরের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ত্রি-মুকুট জিতেছিলেন তিনি। তখন এককে প্রতিপক্ষ হলেও দ্বৈতে এলিনাকে সঙ্গি করেই শিরোপা জয় করেন শাপলা। আর মিশ্র দ্বৈতে হান্নানের সঙ্গে জুটি বেধে ত্রি-মুকুটের ভাগিদার হন তিনি। কিন্তু এবারের সামার ওপেনে দ্বি-মুকুট জেতা হলো না শাপলার। দ্বৈতে রানারআপ হয়ে হতাশ তিনি। শাপলার কথা, ‘আসলে কোর্টে আমি আর দুলালী খেলেছি একদিকে, অন্যদিকে আমাদের বিপক্ষে হিসেবে খেলেছে সবাই। রেফারিও আমাদের প্রতিপক্ষ ছিলেন। তাই ফলটা উল্টে গেছে। জিতেছে এলিনা-নাবিলা জুটি।’ অন্যদিকে রকল্যান্ড সামার ওপেনের পুরুষ এককে স্ক্যামকো’র মিনজাহ ২-১ সেটে সিলেটের এনামকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেন। পুরুষ দ্বৈতে সিলেটের দুলাল-খালেদ জুটি ২-১ সেটে একই দলের সোহেল-জয়নাল জুটির হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয়। কাল টুর্নামেন্টের সমাপণী দিনে প্রধান অতিথি থেকে বিজয়ী ও বিজিতদেও মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।