বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন গৈয়ারপাড় গ্রামে সাদিয়া আক্তার রোকসানা (২৮) নামের এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যার পর সাদিয়ার লাশ ঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে যান স্বামী। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে পাগলা থানা পুলিশ দুপুর ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সাদিয়া আক্তার রোকসানা উপজেলার মাখল শেখভিটা গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। গত ৫ বছর পূর্বে পাশের খৈয়ারপাড় গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে রাসেল মিয়ার (৩০) সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সাদিয়া দেড় বছরের ছেলে সানিল ও ৭ মাস বয়সী ছেলে সাদিবকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বাস করতেন। নিহতের মা আয়মন নেছা জানান, বিয়ের ছয় মাস পর থেকে টাকার জন্য সাদিয়াকে চাপ দিতে থাকে স্বামী রাসেল মিয়া। সংসারের নানা বিষয়, বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়া, ইত্যাদি নিয়ে প্রায়ই রাসেল স্ত্রী সাদিয়াকে মারধর করতো। রাসেল পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। পরকীয়ায় বাধা দিলে প্রায়ই সাদিয়াকে হত্যার হুমকি দিতো রাসেল। এদিকে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সাদিয়ার পরিবার পর্যায়ক্রমে নগদ টাকাসহ অন্তত ১০ লাখ টাকার ফার্নিচার দেয়। ছোট বোন হালিমা বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই টাকার জন্য বোনকে রাসেল অত্যাচার শুরু করেন। এক সপ্তাহ আগেও সাদিয়াকে তারা মারধর করেছেন। মারধর করেই ক্ষান্ত হতো না রাসেল করতো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। সাদিয়ার বড় ভাই হাফেজ আনোয়ার হোসেন বলেন, সকাল সোয়া ৬টার দিকে খবর পাই আমার বোন মারা গেছে। তখন দ্রুত বোনের শ্বশুরবাড়িতে ছুটে আসি। এসে জানতে পারি আমার বোনের শ্বশুর কেরামত আলী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। পরে সকাল ১০টার দিকে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে। নিহতের ভাই অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনকে মেরে লোক দেখানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। পাঁচটা বছর ধরেই বোনটা তাদের নির্যাতন সহ্য করেছে। সাদিয়ার স্বামী রাসেল মিয়া পলাতক থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পাগলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র রায় বলেন, লাশের গলার ডান পাশের প্রায় পুরোটাজুড়েই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের বুকেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।