গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : ছয় মাসের মধ্যে ঢাকা শহরকে বিদেশী শহরগুলোর মত করবো বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। তিনি বলেন, ঢাকার উন্নয়নের জন্য সরকারের কাছ থেকে এক হাজার কোটি টাকা পেয়েছি। জনগণ, স্থানীয় নেতা ও সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় সমগ্র ঢাকা শহরকে বদলে দেয়া হবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে মিরপুর-১ নম্বর হযরত শাহ আলী (র.) সুপার মার্কেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আনিসুল হক বলেন, স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচনের সময় লিখিতভাবে গ্রিন ঢাকা, ক্লিন ঢাকা, যানজট ও ফুটপাতমুক্ত নগরীসহ যে সব ওয়াদা দিয়েছিলাম, সেই ওয়াদা রক্ষার চেষ্টা করছি। মেয়রের একার পক্ষে এ কাজ কঠিন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার এমপি, রাজনীতিবিদসহ সাধারণ জনগণের সহায়তা দরকার।
ঢাকা শহরকে বিলবোর্ড মুক্ত করার বিষয়ে মেয়র বলেন, প্রভাবশালীদের প্রভাব থাকা সত্ত্বেও ঢাকাকে বিলবোর্ড মুক্ত করেছি। শুধুমাত্র ঢাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে ২০ হাজার বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলেছি।
মিরপুরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে দুই মাসের সময় বেঁধে দিয়ে মেয়র বলেন, আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে। যে দোকানের সামনে ফুটপাত বেদখলে থাকবে, ওই দোকানের ট্রেড লাইন্সেস বাতিল করা হবে।
এ সময় ফুটপাত দখলমুক্ত রেখে জনগণের হাঁটার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রভাবশালীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ঘুষ প্রথা বন্ধ করতে ভয়েস রেকর্ড করার আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, দোকান ও ট্রেড লাইন্সেস নিতে কেউ ঘুষ দিবেন না। কেউ ঘুষ চাইলে ভয়েস রেকর্ড করবেন। আমাদের কাছে অভিযোগ করলে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আসলামুল হক বলেন, ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে হবে। স্থানীয় নেতাদের ফুটপাতে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
এ সময় দোকানের সামনের ফুটপাত দখল থাকলে, ওই দোকানের ট্রেড লাইন্সেস বাতিল করার জন্য ডিএনসিসির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কাউন্সিলর টিপু সুলতান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিসবাউল ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে ২ দশমিক ৪৪ একর জমির উপর হযরত শাহ আলী মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। দশতলা আধুনিক মার্কেটে রয়েছে ১টি বেইজমেন্টে। যেখানে ১০০টি কার পার্কিং করা যাবে। মার্কেটে দোকান সংখ্যা ৩ হাজার ৪১০টি। রয়েছে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।