পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নয় বছরের শিশু আবুজার আজহার (আয়াত) গুলশানে তার নানা-নানির কাছে থাকবে। বাবা ডা. এ এইচ এম আজহারুল ইসলাম সন্তানের সঙ্গে সুবিধা মতো সময়ে দেখা করতে পারবেনÑ এমন আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।
শিশু আবুজার বাবার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী। শিশুর নানা-নানীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নকিব সাইফুর ইসলাম। গতকাল বুধবার আইনজীবীরা এ তথ্য জানান।
মামলার রেকর্ড অনুযায়ী, ২০০৯ সালে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ডা. এ এইচ এম আজহারুল ইসলাম ও রাজধানী গুলশানের বাসিন্দা ডা. জারিয়া টি. আহমদের মধ্যে বিয়ে হয়। ২০১২ সালে এ দম্পতির ঘরে আবুজার আজহার (আয়াত) নামের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। ২০১৪ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের পর শিশুসন্তান মায়ের কাছেই ছিল। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আয়াতের মা ডা. জারিয়া টি. আহমদ দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর শিশু আবুজার আয়াত বাবার কাছে লালিত-পালিত হতে থাকে। ২০১৯ সালের আগস্টে মা জারিয়া টি. আহমদ এফিডেভিটের মাধ্যমে শিশুসন্তানের লালন-পালনের ভার বাবা আজহারুল ইসলামকে দিয়ে দেন। বাবা আজহারুল ইসলাম আবুজারকে নারায়ণগঞ্জের হিলম ইসলামিক স্কুলের ইংলিশ ভার্সনে ভর্তি করেন। শিশুটি এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
বাবার কাছে থাকাকালীন নানা-নানী মাঝেমধ্যে নাতি আবুজারকে ঢাকার গুলশানের বাসায় নিয়ে আসতেন। এভাবেই চলছিল।
চলতি বছরের (২০২২ সাল) জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শিশু আবুজার আয়াতকে জিম্মায় চেয়ে নানা ডা. জহির উদ্দিন আহমদ ও নানী সোনিয়া টি. আহমদ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত শিশু আবুজার আজহার নানা-নানির কাছে থাকবেন বলে আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।