পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাপানি মায়ের শিশু দু’টি সিআইডির ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে থাকবে। গতকাল সোমবার এই মর্মে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মা এবং বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাবা সাক্ষাত করতে পারবেন। সেই সঙ্গে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে দুইপক্ষের আইনজীবী বাবা-মায়ের বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেবেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩১ আগস্ট।
শিশু দু’টির বাবার করা সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ উপরোক্ত আদেশ দেন। শিশু দুটি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ শিশির মনির। অপরদিকে বাবার পক্ষে শুনানি করেন ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। সরকারপক্ষে শুনানিতে যুক্ত হন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শুনানি শেষে উপরোক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এদিকে হাইকোর্টের আদেশে হাজির করার নির্ধারিত দিনের আগেই জাপানি মায়ের দুই শিশুকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সিআইডির হেফাজতে থাকা ঘটনাটি হাইকোর্টের দৃষ্টিতে আনেন দুই মেয়ের বাবার আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
ফাওজিয়া করিম আদালতে বলেন, ২২ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিশুদের বাসা থেকে জোর করে টেনে-হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের মানসিক নির্যাতন করা হয়। রাত সাড়ে ৩টার পর তাদের তেজগাঁওয়ে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা শুনেছি ওই দুই শিশুকে আজ অধস্তন আদালতে হাজির করা হবে। এদিকে আপনাদের আদেশ আছে হাইকোর্টে হাজির করার। তাহলে অধস্তন আদালতে কেন নেয়া হবে? আমরা তো আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করিনি। এ বিষয়ে আমরা একটি আবেদন করতে চাই। অনুমতি দিলে দুপুর ২টায় উপস্থাপন করবো।
এক পর্যায়ে শিশুদের মায়ের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনিরকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, বাচ্চাদের এভাবে নিয়ে গেল এটা কোনো সমাধান হলো না। তখন শিশির মনির আদালতকে বলেন, গতকাল রাতে সিআইডি থেকে আমাকে ফোন করে শিশুদের মাকে নিয়ে যেতে বলা হয়। আমি সেখানে যাই। যাওয়ার পর শিশুদের সঙ্গে ৪০ মিনিট কথা বলার সুযোগ পান তাদের মা। ওই সময় আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলি হাইকোর্টের আদেশ আছে। আপনারা যা ইচ্ছে তা করতে পারেন না।
তখন ফাওজিয়া করিম বলেন, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে বাচ্চাদের সঙ্গে অবস্থান করছেন তাদের বাবা। তাদের মা কিছু সময় অবস্থান করে চলে যান। এ সময় শিশির মনির বলেন, এটি স্পর্শকাতর বিষয়। বাচ্চাদের যেন সবার সামনে উপস্থিত না করা হয়। ফাওজিয়া করিম আদালতকে বলেন, আপনারা বাচ্চাদের কথা শোনেন। আপনারা যে আদেশ দেবেন তা আমরা মেনে নেবো। তবে সাপোর্ট সেন্টারে শিশুদের নিয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আবারও বলেন, অধস্তন আদালতের পরিবর্তে শিশুদের হাইকোর্টে নিয়ে আসা হোক। পরে আদালত সম্পূরক আবেদনের সুযোগ দিয়ে শুনানির জন্য দুপুর ২টায় সময় নির্ধারণ করেন। গতকাল ১০ ও ১১ বছর বয়সী মেয়ে দুটিকে উদ্ধার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দুই শিশু কন্যাকে উদ্ধার করার বিষয়টি জানান সিআইডির অতিরিক্ত একজন পুলিশ সুপার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইনজীবীর মাধ্যমে এই দুই শিশুকে ফিরে পেতে জাপানি ওই মা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিটে তিনি বাংলাদেশি-আমেরিকান স্বামীর কাছ থেকে সন্তানদের নিজের জিম্মায় পাওয়ার নির্দেশনা চান। এ প্রেক্ষিতে জাপানি ওই নারীর রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্বামী শরীফ ইমরানের তত্ত্বাবধানে থাকা তার ১০ ও ১১ বছর বয়সী দুই মেয়েকে হাজির করার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি আইন অনুযায়ী জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো (৪৬) ও বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) বিয়ে করেন। পরে তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। এক যুগের দাম্পত্যজীবনে তারা তিন সন্তানের জন্ম দেন। তিনটিই কন্যা সন্তান। তাদের বয়স যথাক্রমে ১১, ১০ ও ৭ বছর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।