Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাবি শিক্ষক সমিতির সংবর্ধনায় সম্মানিত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা

শাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:১৪ পিএম

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অবস্থানের পেছনে যাদের অবদান অনস্বীকার্য অবসরপ্রাপ্ত এমন শিক্ষকদের সম্মাননা এবং সংবর্ধনা প্রদান করেছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। আজ মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অবসরপ্রাপ্ত ও সাবেক ২৩ জন শিক্ষককে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

২৩ জন শিক্ষকের মাঝে অধ্যাপক ড. মিরাজ উদ্দিন মন্ডল, অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক ড. এমাদ উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক নাজমুল আসহাব, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাই চৌধুরী, অধ্যাপক ড. রেজাই করিম খন্দকার, অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হক, অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার দাস, অধ্যাপক ড. এম হাবিবুল আহসান, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আতী উল্লাহ, অধ্যাপক ড. আবদুল আউয়াল বিশ্বাস এই ১৪ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সদরুউদ্দীন আহমেদ চৌধুরীসহ ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাক, অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, অধ্যাপক ড. বজলুল মুবিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. গৌরাঙ্গ দেব রায়, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. এম এ রকীব, অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম মিয়া এবং অধ্যাপক ড. মাকসুদুল বারী প্রমুখ বিশেষ সম্মাননাপ্রাপ্ত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানিত শিক্ষকদের স্মৃতিচারণকালে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক অধ্যাপক ড. কামাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি কখনো মনে করিনি আমি শিক্ষার্থীদের স্যার। নিজেকে বাগানের মালি মনে করতাম। আর শিক্ষার্থীরা সেই বাগানের ফুলের মতো। আমি চেষ্টা করেছি, আমার পরিচর্যায় তারা যেন সুন্দরভাবে ফুটতে পারে, বড় হতে পারে। ছাত্ররা যখন আমাদের চেয়ে বড় পদে যায়, বড় দায়িত্বপালন করে তখন তাদের মা-বাবার মতো আমিও আনন্দ পাই।’ এসময় দর্শক সারিতে উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারাই আমাদের সেই আনন্দ দেন, যখন ভালো কিছু শুনি।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার দাস বলেন, ‘আমি যা তার জন্য ঘৃণীত হই; ক্ষতি নেই। কিন্তু আমি যা নই তার জন্য শ্রদ্ধার হই এটা আমি কখনো চাই না। আমাদের সবার ভালো এবং মন্দ উভয় অবদানে শাবি আজকের এই পর্যায়ে।’

সম্মাননা এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আমাদের উত্তরসূরীদের দেখানো পথে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিচ্ছি। তাই যেখানে যেখানে ঘাটতি ছিলো তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে যে উদ্দেশ্যে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সময়ের পরিক্রমায় তা বাস্তবতায় রূপ পাচ্ছে। এছাড়া ‘বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড জোরদার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অবসরকালীন শিক্ষকদের পরামর্শ গ্রহণ করতে আমরা প্রস্তুত’ বলে যোগ করেন তিনি।

এসময় শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিবুল আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফারুক উদ্দিন, সোনালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার জামান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সোনালী ব্যাংক, সিআরটিসি, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, প্রিমিয়াম এগ্রো ফিশ এন্ড প্রসেসিং, সোহাগ এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এরোলিনা, কিউব ইন এবং মিনিমাল ফার্ণিচারের সহযোগিতায় সম্মাননা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ